Minakshi Mukherjee: ‘এর থেকে ঘৃণা ভাল’, চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি মমতার ভালবাসার বার্তা নিয়ে সল্টলেকে কটাক্ষ মীনাক্ষীর

Minakshi Mukherjee: “যন্ত্রণা, প্রতারণা এবং হতাশার মধ্যে রয়েছে চাকরিপ্রার্থী। গোটা রাজ্যের যুব সমাজই রয়েছে এই যন্ত্রণার মধ্যে।” তোপ মীনাক্ষীর।

Minakshi Mukherjee: ‘এর থেকে ঘৃণা ভাল’, চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি মমতার ভালবাসার বার্তা নিয়ে সল্টলেকে কটাক্ষ মীনাক্ষীর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2022 | 11:55 PM

কলকাতা: “এরকম ভালবাসার দরকার নেই। তাঁর থেকে ঘৃণা করা ভাল।” সল্টলেকে গিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে নিয়ে মমতাকে এই ভাষাতেই তোপ দাগলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। বৃহস্পতিবারের রাত বাড়তেই নিমিষে বদলে গেল গত চারদিনের চেনা ছবি। গোটা করুণাময়ী চত্বর ছেয়ে গেল পুলিশে। অনশন মঞ্চ ছেড়ে ২০১৪ সালের আন্দোলনকারীদের (TET Agitation) উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিল পুলিশ। যা নিয়েই ফের সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এদিকে পুলিশি গতিবিধি বাড়তেই আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে সল্টলেকে ছুটলেন বিরোধী শিবিরের অনেক নেতা-নেত্রীই। ফের একবার তোপ দাগলেন সরকারের বিরুদ্ধে। তোপ দাগলেন শেষ বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী মীনাক্ষী।  

সল্টলেক থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরকারকে দুষে মীনাক্ষীর সাফ জবাব, “যন্ত্রণা, প্রতারণা এবং হতাশার মধ্যে রয়েছে চাকরিপ্রার্থী। গোটা রাজ্যের যুব সমাজই রয়েছে এই যন্ত্রণার মধ্যে। শুধু যারা শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরাই নন ভুয়ো জব কার্ডে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাও একই হতাশায় রয়েছেন। যেখানে কারাখানাগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁরাও একই হতাশায় রয়েছেন। কাজ না পেয়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন।” 

উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে দেখাতে যায়। দেন ‘ভালোবাসার’ বার্তা। এ প্রসঙ্গেও মমতাকে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে মীনাক্ষী বলেন, “এরকম ভালবাসার দরকার নেই। তাঁর থেকে ঘৃণা করা ভাল। কোলের বাচ্চাকে নিয়ে রাতের পর রাত অনশনে বসে থাকাকে যদি ভালবাসেন তবে এ ভালবাসার প্রয়োজন নেই। রাত জেগে আজ চাকরিপ্রার্থীদের আমরণ অনশন করতে বাধ্য করেছে পর্ষদ। যতদিন না যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ডিওয়াইএফআই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে থাকবে। নিজেরাও এ লড়াইটা লড়বে।” 

যে এলাকায় আন্দোলন চলছে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় মীনাক্ষীকে। তিনি বলেন, “যদিও আগেই ১৪৪ ছিল তাহলে বসতে কেন দিল? যদি আগে ছিল না তাহলে আন্দোলনকে ভয় পেয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে দিল? আদালতের উপরে সংবিধান আছে। সংবিধানের উপরে আদালত নয়।”