রাত আটটা পরও মদের ফোয়ারা, জন্মদিনের হুল্লোড়, কোভিড বিধি লঙ্ঘন শহরের আরও এক হোটেলে
HHI: কিছুদিন আগেই পার্ক হোটেলে বিধি ভেঙে সপ্তাহান্তের পার্টি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ৩৭ জনকে। এ বার মিন্টো পার্কের অভিজাত হোটেল হিন্দুস্থান ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ।
কলকাতা: হোটেলের সামনে ফলাও করে লেখা ‘মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ।’ ৫০ শতাংশের বেশি লোক প্রবেশ করতে পারবে না বলেও লেখা রয়েছে। অথচ বাস্তবে ছবিটা আলাদা। পার্ক হোটেলের পর এ বার শহরের আরও এক অভিজাত হোটেলে কোভিড বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলল পার্টি। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা ভঙ্গ করে অধিক লোকের জমায়েত তো বটেই, পাশাপাশি আবগারি দফতরের নিয়ম ভেঙে রাত আটটার পরও মদের ফোয়ারা চলল জন্মদিনের পার্টিতে। গত ১০ জুলাই মিন্টো পার্কে হোটেল হিন্দুস্থান ইন্টারন্যাশনালে এই পার্টি চলে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ওই জন্মদিনের পার্টিতে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত ছিলেন হোটেলে। অথচ রাজ্যে বর্তমানে যে বিধি-নিষেধ জারি রয়েছে তাতে ৫০ জনের বেশি লোকের জমায়েত হওয়া উচিৎ নয়। এ ছাড়া রাজ্যের আবগারি দফতরের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে, রাত ৮টার পর মদ পরিবেশ করা যাবে না। অভিযোগ, এই হোটেলে পার্টি চলাকালীন ৮ টার পরও মদ পরিবেশন করা হয়েছে। আবগারি দফতরের আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল, এই হোটেলে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না। এই খবর পেয়েই হোটেলে হানা দেন তাঁরা। সেখানেই হাতেনাতেই ধরে ফেলেন পুরো ঘটনা।
এই ঘটনার জেরে হোটেলের ম্যানেজারকে তলব করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানতে চান, বিধি জারি থাকা সত্ত্বেও, কেন এই ধরনের পার্টির অনুমতি দেওয়া হল? জানা যাচ্ছে, সদুত্তর না পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল করে দেওয়া হতে পারে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হোটেল কর্তৃপক্ষ- অন্যদের সাময়িক আনন্দ দিতে গিয়ে নিজেদেরই অসুস্থ হ্ওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। এই বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধনী, শিক্ষিত পরিবারের সদস্যরা এই ধরনের কাজ করতে থাকবেন আর আমরা চিকিৎসকেরা বারবার সতর্ক করে যাব, এ ভাবে চলতে পারে না। এর একটা শেষ দেখা উচিৎ। চিকিৎসক হিসেবে শেষ পর্যায়ে এসে এ ভাবে হেরে যাওয়া মেনে কখনই মেনে নিতে পারব না।
কিছুদিন আগে করোনা পরিস্থিতিতে বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করার ঘটনা ঘটে আরও এক হোটেকে। পার্ক হোটেলে রাতভর চলছিল পার্টি। সেই পার্টি থেকে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সপ্তাহান্তে এই ধরনের পার্টি হত পার্ক হোটেলের ঘরে। বিভিন্ন পেশার মানুষ সেখানে যোগ দিতেন। মহিলাদের নামে ঘর বুক করেই চলত সেক্স র্যাকেটও। আরও পড়ুন: কলকাতা মডিউলের মূল চক্রী সেলিম মুন্সিকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে লালু! নয়া তথ্য