কলকাতা মডিউলের মূল চক্রী সেলিম মুন্সিকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে লালু! নয়া তথ্য
Kolkata JMB: সম্প্রতি কলকাতার হরিদেবপুর থেকে জেএমবি-র যে মডিউল গ্রেফতার হয়েছে, তার লিঙ্কম্যান হিসাবে কাজ করত লালু।
কলকাতা: বারাসত থেকে ধৃত জেএমবি (Kolkata JMB) জঙ্গিদের লিঙ্কম্যান রাহুল সেন ওরফে লালু সেনের ফোন কল লিস্টে মিলল আরেক জঙ্গি সেলিম মুন্সির নম্বর। তদন্তকারীরা মনে করছেন, লালুই সেলিম মুন্সিকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। ধৃত লালু সেনকে জেরা করে উঠে এসেছে আরও একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, সেলিম মুন্সিই মূলত বাকি ধৃত তিন জঙ্গির থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে টাকা আসত লালুর কাছে। সেই টাকা সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত হত। জেরায় আরও জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অপ্রশিক্ষিত শ্রমিকদের কাজে পাঠাত লালু। সেখানে তাদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলত। সেই ব্যবসা থেকেও মোটা টাকা আয় করত লালু।
সম্প্রতি কলকাতার হরিদেবপুর থেকে জেএমবি-র যে মডিউল গ্রেফতার হয়েছে, তার লিঙ্কম্যান হিসাবে কাজ করত লালু। ধৃত তির ভক্ন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদের লালুর নাম উঠে আসে। লালু তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত। এই তিন জনের যাবতীয় ভুয়ো নথি অর্থার জাল আধার-ভোটার কার্ড তৈরি করে দেওয়ার ক্ষেত্রে লালুর বড় ভূমিকা ছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, তাদের দেখভাল-সবই করে দিত লালু।
ধৃত ৩ জঙ্গিকে সমস্ত ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করত লালু। জানা যাচ্ছে, সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় লালু সেন। সীমান্তের পরিভাষায়, লালু মূলত ‘ধূরের’ কাজ করত। নথি ছাড়াই মানুষকে এপার থেকে ওপার পৌঁছে দেওয়া বা সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন জিনিসের আদানপ্রদান- এসব করত লালু। সেই সূত্রেই তিন জঙ্গির সঙ্গে তার আলাপ। পরবর্তীকালে তিন জনকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছে লালু। এসটিএফ বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করেছে। আর এই চক্রে আরও কে কে জড়িত, আর কার কার নথি লালু তৈরি করেছে, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন: জঙ্গিদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত সে, JMB কাণ্ডে ধৃত মূল লিঙ্কম্যান