‘অসুস্থ’ শিশির কোন দলে রয়েছেন, অবস্থান জানাতে সময় চাইলেন লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে

Sisir Adhikari: সম্প্রতি তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে ওম বিড়লার কাছে চিঠি দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের কথা বলেন।

'অসুস্থ' শিশির কোন দলে রয়েছেন, অবস্থান জানাতে সময় চাইলেন লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2021 | 3:34 PM

কলকাতা: অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে সময় চাইলেন তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে তৃণমূল চিঠি দিয়ে এই সাংসদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এর পরই অধ্যক্ষ বিষয়টি নিয়ে দুই তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারীর কাছে জবাব তলব করেন। সেই জবাব দেওয়ার জন্যই সময় চাইলেন কাঁথির সাংসদ।

সম্প্রতি তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে ওম বিড়লার কাছে চিঠি দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের কথা বলেন। যেহেতু সুনীল মণ্ডল সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং শিশির অধিকারীও বিজেপির মঞ্চে বিজেপির হয়ে প্রচার করছেন তাই তৃণমূল সাংসদ হিসাবে তাঁদের পদ খারিজের দাবি তোলে তৃণমূল।

এরই মধ্যে সোমবার সুনীল মণ্ডল টিভি নাইন বাংলাকে জানান, তিনি তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী। দলের হয়েই তিনি কাজ করেন। বিজেপিতে তিনি কখনও যাননি। অর্থাৎ সুনীলের ‘ঘর ওয়াপসি’ যে শুধু সময়ের অপেক্ষা তা বোঝাই গিয়েছে। কিন্তু শিশির অধিকারীর অবস্থান প্রথম থেকেই স্পষ্ট নয়। তিনি ভোটের আগে বিজেপির প্রার্থীর হয়ে গেরুয়া-মঞ্চে প্রচার করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের হাত শক্ত করার জন্য রাজ্যবাসীকে আহ্বানও জানিয়েছিলেন।

শিশিরবাবু বারবারই বলেছিলেন, তিনি সবসময়ই তাঁর ছেলেদের সমর্থনে। ছেলেদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী আনুষ্ঠানিক ভাবেই বিজেপিতে গিয়েছেন। দিব্যেন্দু অধিকারী খাতায় কলমে তৃণমূলে থাকলেও দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ সাংবিধানিক প্রশ্নের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। অধ্যক্ষের কাছে জবাবদিহির জন্য শিশির অধিকারী কতদিনের সময় চেয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, এক মাস সময় চেয়েছেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ। তবে অধ্যক্ষ সেই সময় দেন কি না তা সময়ই বলবে। আরও পড়ুন: বাংলার জলযন্ত্রণায় শুধুই হাহাকার! হু হু করে জল ছাড়ছে ডিভিসি, গ্রামকে গ্রাম প্লাবিত