Madan Mitra: ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলছি, প্রথম মদ খাইয়েছে শুভেন্দুর বাবা: মদন
Madan Mitra: শুভেন্দু বলে মাতাল। আবার দিলীপ ঘোষ আমায় বলেছে লোকটা রঙিন। দিলীপকে আমি বলব, "আলো মানে ফিলিপ পাগলা মানে দিলীপ। আর শুভেন্দু?
কলকাতা: বেনজির আক্রমণে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও মদন মিত্র (Madan Mitra)। নন্দীগ্রামের বিধায়ককে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। যদিও তাঁর আহ্বানে পাত্তা না দিয়ে মদনকে ‘চিহ্নিত মাতাল’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। আর যার প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন মদন। তাঁর দাবি, জীবনে প্রথম মদের সংস্পর্শে আসেন শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর জন্য।
কী নিয়ে এমন মদন-বাণ?
সম্প্রতি খড়গপুরের এক সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানান মদন মিত্র। জানান, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ে নামুন তিনি। তাঁর কথায়, ‘শুভেন্দু মায়ের লাল হলে নন্দীগ্রাম থেকে ইস্তফা দিক। আমি কাল কামারহাটি ছেড়ে দিচ্ছি। ২৯৪ বিধানসভার যেকোনও আসনে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। শের ভুখা মার জায়েগা, লেকিন চুহা নেহি খায়েগা।” আর তাঁর এই আক্রমণের জবাবেই তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সাংবাদিকরা মদনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া চাইতেই তাচ্ছিল্যের সুর শোনা যায় শুভেন্দুর গলায়। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, “প্রথম কথা একজন চিহ্নিত মাতালের কথার উত্তর দেওয়া মুশকিল।” ফের জোর দিয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “একজন চিহ্নিত মাতাল। এস্টাব্লিশড মাতাল… সারা পশ্চিমবঙ্গের লোক জানে”।
পাল্টা মদন:
Tv9 বাংলাকে শুভেন্দুর কটাক্ষের জবাবে মদন বলেন, “শুভেন্দু আগে বাবাকে ঠিক করুক, তারপর আমাকে বলবে।” তিনি জানান প্রথম মদই খেয়েছেন শুভেন্দুর বাবা সাংসদ শিশির অধিকারীর কাছে।
আবার ফেসবুক লাইভে এসে মদনের মন্তব্য, “শুভেন্দু বলে মাতাল। আবার দিলীপ ঘোষ আমায় বলেছে লোকটা রঙিন। দিলীপকে আমি বলব, “আলো মানে ফিলিপ পাগলা মানে দিলীপ। আর শুভেন্দু? ”
মদন বলে যান, “প্রথম আমার জীবনে… ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলছি মদ কী জানতাম না, প্রথম খাওয়ালেন শুভেন্দুর বাবা। শিশিরদার দোষ নেই। যে লোকটা উপকার করেছে কেন তাঁকে বলব। উনি বললেন, ‘একটু পানীয়, জুস আছে খেয়ে নে বাবা’। শুভেন্দুর বাবা তো আমারও বাবা। আমি খেয়ে নিলাম। তার পর টলমল করছিলাম। তার পর আর খাইনি…”
কোন প্রেক্ষিতে মদন ও শুভেন্দুর বিতণ্ডা?
একুশের ভোটের আগে শুভেন্দু দল ছাড়ার পরেই তাঁকে ধারাবাহিক আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। আর প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র অহরহ নিজেকে ইমানদার আর শুভেন্দুকে বেইমান বলে আক্রমণ করে আসছেন। ভোটের সময় বিভিন্ন সভা থেকে তিনি মমতার কাছে অনুমতি চেয়েছেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে যেতে। যদিও একুশের ভোটে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোই লড়াইয়ে নেমেছিলেন তাঁর একসময়ের সেনাপতির বিরুদ্ধে। তবে স্বল্প ব্যবধানে হারতে হয় তাঁকে।
এদিকে এখনও মদন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে চান। সম্প্রতি খড়গপুরের এক সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানান মদন মিত্র। জানান, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ে নামুন তিনি। তাঁর কথায়, ‘শুভেন্দু মায়ের লাল হলে নন্দীগ্রাম থেকে ইস্তফা দিক। আমি কাল কামারহাটি ছেড়ে দিচ্ছি। ২৯৪ বিধানসভার যেকোনও আসনে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। শের ভুখা মার জায়েগা, লেকিন চুহা নেহি খায়েগা।” আর তাঁর এই আক্রমণের জবাবে তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পাল্টা দিলেন মদনও।