Madan Mitra: তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন শুভেন্দু? গোপন কথা ‘ফাঁস’ করলেন মদন
Madan vs Suvendu: নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের উদ্দেশে মদনের বক্তব্য, "পা বাড়িয়ে দিয়েছেন। অলরেডি আপনি যোগাযোগ করেছেন। আমাদের পার্টি কী সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি জানি না। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ছাড়া আপনাদের সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই।"
কলকাতা : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বোমা ফাটালেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। দুর্বার সমন্বয় সমিতির উদ্যোগে দুর্গাপুজোর খুঁটি পূজা ছিল মঙ্গলবার। ওই খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মদন বাবু জানান, শুভেন্দু অধিকারী নাকি তৃণমূল যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের উদ্দেশে মদনের বক্তব্য, “পা বাড়িয়ে দিয়েছেন। অলরেডি আপনি যোগাযোগ করেছেন। আমাদের পার্টি কী সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি জানি না। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ছাড়া আপনাদের সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই।”
এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী যে কেবল পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা, গোটা বাংলার নন, সেই কথাটিও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সম্প্রতি, মমতাকে খোঁচা দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে ‘মেদিনীপুরের শুভেন্দু’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মদন বাবু বলেন, “আসলে উনি ঠিকই বলেছেন। শুভেন্দু অধিকারী নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি আর বাংলার বিরোধী নেতা নন। তিনি বাংলার নেতা নন, তিনি মেদিনীপুরের নেতা। আমি শুভেন্দুকে অভিনন্দন জানাই যে দেরিতে হলেও ওর শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। ও যে বাংলার নয়, ও যে বাঘ নয়, সেটা তিনি বুঝতে শুরু করেছেন। আর কিছুদিনের মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে হবে আমি মেদিনীপুরের নই।”
উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও এই ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের কথা। কুণাল বাবু বলেছিলেন, “শুভেন্দু বিজেপি-তে থাকতে পারছেন না। দমবন্ধ হয়ে আসছে। তাই তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন বলেই আমরা খবর পেয়েছি।” অধিকারী পরিবার বিজেপিতে গিয়ে যথেষ্ট সম্মান পাচ্ছেন না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই সময় অবশ্য টুইটারে এর জবাব দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এক টুইটার ব্যবহারকারীর এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন এই সব ‘ভুয়ো খবর’। এই ধরনের ‘সস্তার রাজনৈতিক চমক’-কে গুরুত্ব না দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলেন শুভেন্দু।