MAKAUT: ‘আমাকে সাপোর্ট করুন…’, ক্লাসরুমে ছাত্রের হাতে সিঁদুর পরার পর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুললেন অধ্যাপিকা
MAKAUT: অধ্যাপিকা বলেন, "আজ সকাল থেকেই দেখছি অনেক ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে, ক্লিপিংস ভাইরাল হচ্ছে, প্রচুর লোকের মন্তব্যও আসছে। পজিটিভ, নেগেটিভ সব মিলিয়েই আসছে। ভিডিয়ো সম্পর্কে বলি, এটা আমার কাছে খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার।"

কলকাতা: খবরের শিরোনামে নদিয়ার হরিণঘাটার ম্যাকাউট ক্যাম্পাস। নেপথ্যে একটি ভিডিয়ো। ক্লাসরুমের মধ্যেই অ্য়াপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। আর এই ভিডিয়ো নিয়েই এখন শোরগোল। যদিও প্রথম থেকেই অধ্যাপিকা দাবি করেছেন, এটা নিতান্তই ফ্রেশার্সের একটি নাটকের ক্লিপিংস। এবার এর পিছনে ঘোরতর অভিসন্ধির অভিযোগ তুললেন অধ্যাপিকা পায়েল। তাঁর দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবেই এই ক্লিপিংসগুলোকে কেটে ভাইরাল করা হয়েছে। আর এক্ষেত্রে তাঁর ইঙ্গিত, বিশ্ববিদ্যালয়েরই অভ্যন্তরের কারোর। নিজের সামাজিক মাধ্যমে এবার মুখ খুললেন অধ্যাপিকা।
সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এই ভিডিয়ো, আর তা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “আজ সকাল থেকেই দেখছি অনেক ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে, ক্লিপিংস ভাইরাল হচ্ছে, প্রচুর লোকের মন্তব্যও আসছে। পজিটিভ, নেগেটিভ সব মিলিয়েই আসছে। ভিডিয়ো সম্পর্কে বলি, এটা আমার কাছে খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার। একটা ড্রামা ক্লিপ, যেটা এমনভাবে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছে এই ড্রামার ব্যাপারে। কিন্তু সত্যিই এটা একটা ড্রামা ক্লিপ। অরিজিন্যাল না।”
তাঁর দাবি, তাঁদের বিভাগের আরও অনেক ভিডিয়ো আছে, যেখানে ছাত্ররা নাচ-গান করছেন। তিনিও তাতে অংশ নেন। অন্য ফ্যাকাল্টিরাও অংশ নেন বলে দাবি তাঁর। কিন্তু নাচ গানের ভিডিয়ো ভাইরাল না হয়ে, সাইকো ড্রামার থেকে একটি পার্টিকুলার অংশ ভাইরাল করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, “এটাই আমার জন্য আশ্চর্য। এটা কে করেছেন, কোন উদ্দেশ্যে করেছেন, সেই ব্যাপারে আর যাচ্ছি না। এটার জন্য কর্তৃপক্ষ রয়েছে, যাচাই করে সত্যিটা বার করবে।”
তবে এই ধরনের ভিডিয়ো ভাইরাল করার পিছনে যে অভিসন্ধি রয়েছে, তাতে আদতে তাঁর ছাত্রছাত্রীদের মনের ওপরেই চাপ পড়ছে বলে মনে করেন অধ্যাপিকা। তিনি বলেন, “এই ভিডিয়োটা নিয়ে তো কথা হচ্ছেই, কিন্তু এটা ভাবা হচ্ছে না, আমার সঙ্গে আরও কিছু স্টুডেন্টস রয়েছে, যাদের কথা ভাবা হচ্ছে না। তাদের একটা কেরিয়ার আছে।”
ভিডিয়ো বার্তায় তিনি অনুরোধ করেন, “আমি আপনাদের কাছে হাতজোড় করে রিকুয়েস্ট করব, এটাকে নিয়ে আর না এগোতে। এই ভিডিয়ো নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করতে। যদি কিছু অরিজিন্যাল হত আলাদা ব্যাপার, ফেক ভিডিয়ো নিয়ে মাতামাতি করে সময় নষ্ট হবে। ক্ষতি হচ্ছে আসলে স্টুডেন্টসদের। আমার ইমেজ থেকেও বেশি হল ওদের মেন্টাল হেলথে যেন কোনও প্রভাব না পড়ে। আপনাদের কাছে কোনও ভিডিয়ো এলে, সেগুলিকে রিপোর্ট করুন, আর আমাকে সাপোর্ট করুন। যাতে এই জিনিসগুলো বন্ধ হয়। আমি যা লিগ্যাল পদক্ষেপ করার করছি, শুধু আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা এই ভিডিয়োগুলো দেখে রিপোর্ট করুন।”
কিন্তু গোটা বিষয়টির মধ্যে একটা বিষয়েই ধন্দ। অধ্যাপিকা দাবি করছেন এটা ফ্রেশার্সের নাটকের অংশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, “আমাকে কিছু জানাননি। যতদূর জানি, রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। যখন পুরো বিষয়টা বাইরে এসেছে, তখন চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, এটা আমাদের একটা কারিকুলামের পার্ট, এটা সাইকো ড্রামা। ওনাকে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাইরে থাকতে বলা হয়েছে।” আদতে এটা সাইকোলজিক্যাল ড্রামা, প্রজেক্টের অংশ নকি ফেশার্স পার্টির নাটকের অংশ, তা নিয়েই প্রশ্ন।





