Cabinet Meeting: গোলমালের আশঙ্কা মমতার, মন্ত্রীদের সতর্ক থাকার বার্তা: সূত্র

Mamata Banerjee: সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠকে বলেছেন, "আপনাদের তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে সমস্যায় ফেলতে পারে। নাকা চেকিং বাড়াতে হবে জেলায় জেলায়। আপনারা সতর্ক থাকুন। সম্প্রীতি বজায় রাখতে যা যা করার, তা করুন। কোনরকম ফাঁদে পা দেবেন না। কর্মীদের সতর্ক রাখুন।"

Cabinet Meeting: গোলমালের আশঙ্কা মমতার, মন্ত্রীদের সতর্ক থাকার বার্তা: সূত্র
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2022 | 5:00 PM

কলকাতা: ‘ডিসেম্বরে সরকার ফেলে দেওয়া’র গুঞ্জন ঘিরে সাম্প্রতিককালে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে। বিজেপি ও তৃণমূল নেতাদের মধ্যে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকদফা আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের পালা দেখা গিয়েছে। এবার এই প্রসঙ্গ উঠে এল ক্যাবিনেট বৈঠকেও (Cabinet Meeting)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এদিনের বৈঠকে মন্ত্রীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে অশান্তি বাধাতে পারে ওরা। আপনাদের তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে সমস্যায় ফেলতে পারে। নাকা চেকিং বাড়াতে হবে জেলায় জেলায়। আপনারা সতর্ক থাকুন। সম্প্রীতি বজায় রাখতে যা যা করার, তা করুন। কোনরকম ফাঁদে পা দেবেন না। কর্মীদের সতর্ক রাখুন।” যদিও সরাসরি কোনও দলের নাম মুখ্যমন্ত্রী করেননি বলেই নবান্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামীণ প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্যও মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, খেলা এবং মেলায় খরচ কম করে প্রকল্প শেষ করার কাজে জোর দেওয়ার উপর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অর্থ আসছে না। তাই রাজ্যকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ শেষ করতে হবে।” মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এদিন এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, ক্যাবিনেট বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর এই সতর্ক থাকার বার্তা প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কোনওরকম সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যথার্থই বলেছেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতারা প্রতিদিন দেখছি বোমা, গুলি,  বারুদ… উদ্ধার হচ্ছে অস্ত্র। তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের লড়াই। এগুলো কে ঠেকাবে? তৃণমূল দলটা দুষ্কৃতীরা মনে করছে, তাদের জন্য। আজ এতদিন পর মনে পড়ল কেন? যা সর্বনাশ হওয়ার বাংলার, তা ইতিমধ্য়েই হয়ে গিয়েছে। দুষ্কৃতীরা প্রশাসন চালাচ্ছে।”