Mamata Banerjee: ‘এখানে এসব হতে দেব না’, গুজরাটে নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা
Mamata Banerjee: রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে মমতা সাফ জানিয়ে দিলেন, "গুজরাটে পলিটিক্স আসছে বলে করছে। আমরা তো এখানে এসব করতে দেব না।"
কলকাতা: ভোটমুখী গুজরাটে বড় ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে গুজরাটে আসা অমুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানদের এই নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর এই ঘোষণার পর থেকেই ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে সিএএ (Citizenship Amendment Act, 2019) ঘিরে। এই ঘটনা পরম্পরায় এবার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে সাফ জানিয়ে দিলেন, “গুজরাটে পলিটিক্স আসছে বলে করছে। আমরা তো এখানে এসব করতে দেব না।”
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, “আমরা সম্পূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে। আমরা এর বিরোধিতা করছি। এটি কেবল ওরা গুজরাট নির্বাচনের জন্য রাজনীতি করছে। নির্বাচন, রাজনীতির থেকে মানুষের জীবন অনেক দামী।” উল্লেখ্য, গুজরাটে নাগরিকত্বের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে ঘোষণা করেছে, সেই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুরু থেকেই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ -এর বিরোধিতা করে আসছে। অতীতেও একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে একাধিকবার বিঁধেছেন। এবার ফের একবার সিএএ বিরোধিতা সুর স্পষ্ট মমতার গলায়।
উল্লেখ্য, এই বিষয়ে গতকাল রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রতিনিধি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় যদি রাজ্য সরকার সমর্থন না করে, তাহলে সেটা করা সম্ভব হয় না। যেটা পশ্চিমবঙ্গের জন্য নেগেটিভ। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী এটিকে সমর্থন করেননি বলে রাজ্যে এটি লাঘু করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি মতুয়াদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম, সেটি যদি সম্পূর্ণভাবে গুজরাটে শুরু হয়… আমি মনে করি তার প্রথম ধাপ শুরু হল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও গতকাল দাবি করেছেন, “এটা তো সিএএ-র পার্ট। সিএএ তো প্রণয়ন শুরু হয়ে গেল। ভারতের অঙ্গ পশ্চিমবঙ্গও। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে।”