Mamata Banerjee: বেহালার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও সিপি-কে ফোন মমতার
Mamata Banerjee: শুক্রবার সকালে স্কুলে সামনে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক ৫ বছরের শিশুর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা।
কলকাতা: সকাল থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে বেহালার চৌরাস্তা এলাকা। লরির ধাক্কায় এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতি দেখেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করেছেন তিনি। এদিন সকালে দুর্ঘটনার পরই পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি, ভাঙচুর চালানো হয় সরকারি বাসে। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকেও।
শুক্রবার সকালে বেহালায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের কমিশনারও। ছিলেন আরও অনেক উচ্চপদস্থ কর্তা। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে তারা। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, পরিস্থিতি কীভাবে এতটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বড়িশা স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের সামনে কোনও ট্রাফিক সার্জেন থাকে না। দিনের পর দিন বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলে। আর তার জন্য পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁরা। এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি থেকে টাকা তোলার অভিযোগও উঠেছে।
এদিন ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আধিকারিকদের লক্ষ্যে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন অন্তত এক অফিসার সহ ৫ পুলিশকর্মী। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার রূপেশ কুমারের মাথা ফেটে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। তাঁর সিটি স্ক্যান করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বেলা বাড়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে এখনও ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই হাওড়া থেকে ঘাতক গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে।