Mamata Banerjee in Netaji Indoor Stadium: ‘যখন কেউ বুঝতে চায় না, তখন…’, কংগ্রেস ছাড়াই ‘একলা চলার’ ডাক মমতার
Kolkata: রাজনৈতিক মহলের একাংশ যদিও বলছেন, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ্য বিরোধী দল। সেখানে ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টির মতো দলগুলি
কলকাতা: আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। ২০২৪-এর সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। চলতি বছরেই গোয়া, উত্তর প্রদেশ, মণিপুর, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এই পাঁচ রাজ্যেই বিধানসভা নির্বাচন। গোয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হবে কি না তা নিয়েও জল্পনা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় পৃথকভাবেই গোয়ার বিধানসভায় লড়বে হাত ও ঘাসফুল শিবির। বুধবার, কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বরং পৃথকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের লড়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার দেখে খারাপ লাগে…কংগ্রেস দলটা…কীভাবে কী করে চলেছে! মেঘালয়ে বিজেপিকে জেতানোর পেছনে কংগ্রেসই রয়েছে। আমরা বারবার বলেছিলাম বিজেপির বিরুদ্ধে সকল শক্তিগুলি একত্রিত হোক। কিন্তু, কেউ যদি না বোঝে, যখন কেউ বুঝতে চায় না, তখন আমি রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করি। বলি, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’।”
এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল সুপ্রিমোর আরও সংযোজন, “এখন আমাদের দল জাতীয় দল, কেবল বাংলার দল নয়। আমরা লোকসভায় উত্তর প্রদেশে লড়ব। তৃণমূল লড়বে। আঞ্চলিক দলগুলো নিয়ে জোট করব। কেউ যদি নিজের অহঙ্কার নিয়ে বসে থাকেন, তাহলে কিছু করার নেই। তৃণমূল লড়বে। বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। আমি তো শুনলাম, অনেক বিজেপি বিধায়ক আমাদের দলে ফিরতে চাইছেন। ফিরুন, কাজ করতে চাইলে কোনও আপত্তি নেই। আমরা কাউকে জোর করব না। জোর করে কাউকে কিছুতে টানব না।”
তৃণমূল সুপ্রিমোর এই মন্তব্য়েই কার্যতেই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা আপাতত বন্ধ। বরং, পৃথকভাবে লড়াই করতেই বেশি সচেষ্ট তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে পাল্টা কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “কবিগুরুর গান তো কবিগুরু সারাদেশের মানুষের জন্য লিখে গিয়েছেন। মমতার ভুলটা ভাঙিয়ে দেওয়া উচিত। বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই জারি থাকবে। আর বিজেপির বিরুদ্ধে যে দল এগিয়ে আসবে, তাকে কংগ্রেস স্বাগত জানাবে। কিন্তু, স্পষ্ট মন নিয়ে স্পষ্ট কথা বলে আসতে হবে।”
রাজনৈতিক মহলের একাংশ যদিও বলছেন, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ্য বিরোধী দল। সেখানে ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টির মতো দলগুলি। কিন্তু, কংগ্রসকে ছাড়া পুরোপুরি কি বিজেপিকে প্রতিরোধ সম্ভব? খোদ ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, বিজেপিকে এত তাড়াতাড়ি মোছা যাবে না। বরং, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে একটি মুখ দরকার। সেক্ষেত্রে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও কংগ্রেস কি কাছাকাছি আসতে পারে?
গত বছর, বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি গোয়াতেও একাধিক কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শোনা গিয়েছিল, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের অনুরোধ এসএমএস করে সনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুুপ্রিমো। কিন্তু চিঁড়ে ভেজেনি! তৃণমূলের তরফে এ বিষয়ে কেউ মুখ খোলেননি। এই পরিস্থিতিতে, আগামী ২ বছরে হাত ও ঘাসফুল শিবিরের সমীকরণ কোনওভাবে বদলায় কি না সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: Kolkata Bus: অফিস টাইমে সহজে মিলবে না বাস! সরকারি জরিমানা বৃদ্ধির প্রতিবাদে বেসরকারি বাস সংগঠন