Mamata-Suvendu: মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথের অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গ! তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির বাতাবরণ
Mamata-Suvendu: জানুয়ারি মাসের শেষের দিকেই উত্তরবঙ্গে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রশাসনিক সভার পাশাপাশি দলীয় কর্মিসভাও করতে পারেন তিনি। এদিকে আবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও চলতি মাসের শেষ দিকে উত্তরবঙ্গে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কলকাতা: লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে বাংলায়। বাকি আর হাতে গোনা কয়েকটা মাস। তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতির বাতাবরণ। নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার থেকে শুরু করে একের পর এক অভিযোগে তৃণমূলকে বিঁধছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূলও নাগাড়ে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে একশো দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকার ইস্য়ুতে। এসবের মধ্যেই এবার বাংলায় যুযুধান দুই পক্ষের দুই মুখের ঠোকাঠুকির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গে। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকেই উত্তরবঙ্গে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রশাসনিক সভার পাশাপাশি দলীয় কর্মিসভাও করতে পারেন তিনি।
এদিকে আবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও চলতি মাসের শেষ দিকে উত্তরবঙ্গে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁরও গন্তব্য কোচবিহারই। জানা যাচ্ছে, আগামী ১৯ জানুয়ারি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে সভা করার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। লোকসভা ভোটের মুখে বঙ্গ রাজনীতির দুই মহারথীর দ্বৈরথের অপেক্ষায় তপ্ত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতির বাতাবরণ।
লোকসভা ভোটের মুখে একদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো এবং অন্যদিকে বিরোধী দলনেতার কোচবিহার সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উনিশের লোকসভা ভোটে, এই কোচবিহারে উড়েছিল গেরুয়া আবির। সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তারপর একুশের বিধানসভায় হাতে গোনা কয়েকটা আসন জিততে পেরেছিল তৃণমূল। বেশিরভাগ জায়গাতেই পদ্ম পতাকা উড়েছিল। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই জেলার পরেশ অধিকারীর নাম জড়িয়েছিল। আবার রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী তথা এই জেলার অন্যতম বিধায়ক উদয়ন গুহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে লাগাতার চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন বিজেপির। এমন অবস্থায় জানুয়ারির দ্বৈরথ স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য রাজনীতির পারদ চড়াচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।