Mamata Banerjee: ‘রাজ্যপাল সম্পর্কে যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী, তবে…’, মানহানির মামলায় কী নির্দেশ হাইকোর্টের
Mamata Banerjee-Governor Case: প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা চলছিল। বিচারপতি কৃষ্ণা রাও নির্দেশ দিয়েছিলেন, আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও সম্মানহানিকর মন্তব্য করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট চারজন তৃণমূল নেতা। এই মর্মে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন তিনি।
কলকাতা: রাজ্যপাল সম্পর্কে যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ চার তৃণমূল নেতা। রাজ্যপালের করা মানহানির মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে আদালত এও বলেছে যে, ‘মন্তব্য করার সময় মনে রাখতে হবে, সেটা যেন মানহানির যে সংজ্ঞা আছে বা মানহানি সম্পর্কিত যে আইন আছে তাকে লঙ্ঘন না করে।’ এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা ফেরত গেল সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে।
প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা চলছিল। বিচারপতি কৃষ্ণা রাও নির্দেশ দিয়েছিলেন, আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও সম্মানহানিকর মন্তব্য করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট চারজন তৃণমূল নেতা। এই মর্মে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন তিনি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক রেয়াত হোসেন ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। আবেদনে বক্তব্য ছিল, এই নির্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।
ডিভিশন বেঞ্চেক বক্তব্য, ‘একজন মানুষের মর্যাদা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং পবিত্র বিষয়। সেটা রক্ষা করার জন্য আইনে সংস্থান রয়েছে।’ আরও বলা হয়েছে যে, ‘মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব করা যায় না। যদিও এই বাকস্বাধীনতার কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সত্যি জানার অধিকার সবার আছে। তবে তবে এই সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বা উচ্চপদে থাকা ব্যক্তিদের অনেক বেশি দায়িত্বশীল থাকতে হয়।’
কিছুদিন আগে নবান্ন সভাঘর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন তাঁর কাছে মহিলাদের অভিযোগ আসছে। মহিলারা বলছেন যে তাঁরা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এরপরই মানহানির মামলা করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেই মামলায় যুক্ত করা হয় সায়ন্তিকা, কুণাল ও রেয়াত হোসেনকে।