CM Mamata Banerjee: ৭১ নম্বর হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটেও যেতেন রানি রাসমণি: মমতা

CM Mamata Banerjee: কলকাতার জানবাজারের প্রসিদ্ধ মানবদরদি জমিদার হিসাবে খ্যাতি ছিল রানী রাসমনির। এদিন দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে সেই রানী রাসমণিকে নিয়েই আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন মমতা।

CM Mamata Banerjee: ৭১ নম্বর হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটেও যেতেন রানি রাসমণি: মমতা
ছবি - দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে আবেগতাড়িত মমতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2022 | 8:17 PM

কলকাতা: দিল্লি থেকেই ফিরেই সোজ দক্ষিণেশ্বরে (Dakshineswar) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিন তাঁর হাত দিয়েই উদ্বোধন হয়ে গেল দক্ষিণশ্বেরের ইতিহাসের উপর নির্মিত লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোয়ের। এদিন দক্ষিণেশ্বরের মঞ্চ থেকে কালীবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রানি রাসমণির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বারবার আবেগতাড়িত হয়ে পড়তে দেখা যায় মমতাকে। এদিন মমতাকে বলতে শোনা যায়, “রানি রাসমণি যেভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তা ইতিহাসের দলিল হয়ে থেকে গিয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইকে নানা ভাবে প্রাণবন্ত করে তুলতে সাহায্য করেছেন তিনি। এটা ইতিহাসের একটা বড় অধ্যায়”। 

কলকাতার জানবাজারের প্রসিদ্ধ মানবদরদি জমিদার হিসাবে খ্যাতি ছিল রানি রাসমনির। দক্ষিণেশ্বরের থেকে এদিন তাঁর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ”ছোটবেলায় মা-বাবার মুখে শুনেছি আমাদের গঙ্গার ঘাটেও তিনি স্নান করতে আসতেন। উনি তো বলরাম বসু ঘাটে যেতেন। ৭১ নম্বর হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটেও যেতেন তিনি। ওখানে যত জমি আছে সব ঠিকা জমি। সবই রয়েছে রানী রাসমণির নামে। উনি যে ঘাটে স্নান করতে আসতেন আমি সে জায়গাটা বাঁধিয়ে দিয়েছি। এটা ইতিহাসের একটা জীবন্ত দলিল”।

প্রসঙ্গত, শত বছরের প্রাচীন মন্দির সংস্কারে জন্য এর আগে একাধিক কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমতাবস্থায় এবার অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যমে প্রাচীন মন্দিরের ইতিহাস বর্ণনা করতে আকর্ষণীয় ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ শো চালু হল তাঁর হাত ধরেই। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ”এখন থেকে আর দক্ষিণেশ্বরের ইতিহাস জানতে বই পড়তে হবে। ২৫ মিনিটের এই ভিডিয়োতেই জানা যাবে যাবতীয় ইতিহাস”। রানি রাসমণির পাশাপাশি এদিন মমতার মুখে বারবারই উঠে আসে রামকৃষ্ণদেবের কথাও। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “রামকৃষ্ণদেব বলে গিয়েছেন টাকা মাটি, মাটি টাকা। এটার মানে কী? প্রয়োজনের থেকে বেশি কিছু চাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু এখন সকলের সব কিছু বেশি বেশি করে চাই। কিন্তু, প্রয়োজন মিটে গেল তারপরেও অতিরিক্ত চাওয়ার তো কিছু নেই।”