Firhad Hakim: চেয়ারম্যান তিনি নিজেই, কেএমডিএ-কে নোটিস দিতে বললেন মেয়র ফিরহাদ
Firhad Hakim: ফিরহাদ জানিয়েছেন, কেএমডিএ-র কাছে পরিষ্কার করার যথেষ্ট পরিকাঠামো নেই। তিনি জানিয়েছেন, পুরনিগম পরিষ্কার করে দেবে, টাকা দেবে কেএমডিএ।
কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতা ও শহরতলিতে একাধিক জমি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীনে রয়েছে। যে সব জমি দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার হচ্ছে না, আবর্জনায় ভরে রয়েছে, সেই সব জমি নিয়ে এবার কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা কেএমডিএ-কে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিম নিজেই এই কেএমডিএ-র চেয়ারম্যান। মেয়রের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের অসচেতনতার কারণে সেখানে আবর্জনা জমছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পাটুলি এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতামূলক এক পদযাত্রায় ওই ওয়ার্ডে যান মেয়র। সেখানে বিভিন্ন খালি জমি দেখতে পান তিনি। সেখানকার অব্যবস্থা ছবি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফিরহাদ। যেভাবে আবর্জনা জমে রয়েছে, তাতে জল জমে মশার আঁতুরঘর তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয় বলেই মনে করেন তিনি। এরপরই কেএমডিএকে নোটিস দেওয়ার কথা জানান তিনি। ফিরহাদ আরও জানিয়েছেন, কেএমডিএ-র কাছে পরিষ্কার করার যথেষ্ট পরিকাঠামো নেই। তিনি জানিয়েছেন, পুরনিগম পরিষ্কার করে দেবে, টাকা দেবে কেএমডিএ।
কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৭। কলকাতার মধ্যে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তালিকায় প্রথমে আছে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৬ জন। দক্ষিণ কলকাতায় যাদবপুরের অন্তর্গত এই ওয়ার্ডগুলিতেই কেএমডিএর ফাঁকা জমি সবচেয়ে রয়েছে অনেক।
উল্লেখ্য, কলকাতা জুড়ে ডেঙ্গির দাপট নিয়ন্ত্রণে আসছে না। প্রতিদিনই ডেঙ্গি আক্রান্তদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থায় পুরনিগমের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করছেন বিরোধীরা। যদিও ফিরহাদের দাবি, মানুষের অসচেতনতার কারণেই মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।