Municipal Recruitment Scam: ‘নিশ্চয়ই উপরের নির্দেশ আছে হেনস্থা করার’, ED-র দফতরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখার অভিযোগ পাঁচুর
Municipal Recruitment Scam: তাঁর দাবি, গোয়েন্দাদের নির্দেশ মতো তিনি সকাল এগারোটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছেন। তবে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে বসিয়ে রাখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কোনও কথাবার্তাই হয়নি বলে দাবি পাঁচুর। শেষে দু'ঘণ্টা অপেক্ষা করে একটা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
কলকাতা: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পৌরসভার প্রাক্তন ও বর্তমান পৌর প্রধানদের তলবও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়। একাধিকবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। তবে এবার ইডির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুললেন পাঁচু। তাঁর দাবি, গোয়েন্দাদের নির্দেশ মতো তিনি সকাল এগারোটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছেন। তবে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে বসিয়ে রাখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কোনও কথাবার্তাই হয়নি বলে দাবি পাঁচুর। শেষে দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করে একটা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
সোমবার নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন,আজ ডেকেছিল। তবে কারোর সঙ্গে দেখা হয়নি। আগের দিন বলছিল আমার যে মোবাইল ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে সেখান থেকে তথ্য কপি করতে সময় লাগবে। ওর জানে আর্থিক তছরুপের ধারে কাছে আমি নেই। সেটা বুঝে গিয়েছে। আসলে দুটো মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে চলে এসেছে হেনস্থা করার জন্য। আসলে উপর থেকে কোনও নির্দেশ আছে হেনস্থা করার।
প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন পৌরসভায় হানা দেন ইডি-র গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান পাঁচু রায় অন্যতম। একাধিকবার হাজিরা দেন তিনি। গত শুক্রবারও হাজিরা দিয়েছিলেন পাঁচু। সেই সময় বিভিন্ন নথি সঙ্গে নিয়ে আসেন। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হতে হয় তাঁকে।