Na Bollei Noy: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে পার্শ্ব শিক্ষকদের অবস্থা, কিছু কথা ‘না বললেই নয়’

স্পষ্ট কথা বললে তো আর কষ্ট থাকে না। সবকিছুতে নেতারা যে কেন এত ধোঁয়াশা তৈরি করেন কে জানে!

Na Bollei Noy: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে পার্শ্ব শিক্ষকদের অবস্থা, কিছু কথা ‘না বললেই নয়’
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2022 | 4:38 PM

কলকাতা: কোনওদিন সাপ লুডো খেলেছেন? খেলেছেন নিশ্চয়ই। ছক্কা-পুটের দোল দোল দোলনায় দুলতে দুলতে জেতা অথবা হারা। বেশ একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। কিন্তু সেই থ্রিলের ছিটেফোঁটা থাকার কথা ছিল না রাইসিনার রেসে। অঙ্কের বিচারে বিজেপি তথা এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জয় ততটাই নিশ্চিত ছিল, যতটা সূর্যের পূর্ব দিকে ওঠা। অর্থাৎ সাপের মুখে পড়ার চান্স দ্রৌপদীর ছিলই না। বরং সাপের মুখ থেকে রাইসিনার রেস শুরু করেছিলেন যশবন্ত সিনহা। স্টার্টিং পয়েন্ট থেকে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছতে মই চড়ার বরাত যশবন্তের ছিল না, নেই-ও। রাজনীতির অলিন্দে কানাঘুষো, দৌড়ের মাঝপথে যশবন্তের মই বেমালুম কেড়ে নিয়েছে তারই সদ্য প্রাক্তন দল তৃণমূল। রথের দিন, উল্টো পথে হেঁটে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, বিজেপি আগে জানালে দ্রৌপদীকেই সমর্থন করতেন। ইঙ্গিত দিয়েছেন, এখনও যদি বিরোধীরা সর্বসম্মত ভাবে চান তাহলে দ্রৌপদীকে সমর্থন করা যেতে পারে। তাহলে যশবন্তের হাতে রইল পেন্সিল! আর দ্রৌপদী খেলা শেষের আগেই চ্যাম্পিয়ন?

কথায় আছে, আত্মবিশ্বাস ভাল। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কিঞ্চিত গন্ডগোলের। দ্রৌপদীর হয়ে বিরোধীদের সমর্থন চাইছে বিজেপি। দ্রৌপদীর সমর্থনে সন্ধি চেয়ে এ রাজ্যের বিজেপি নেতারাও পত্রমিতালির চেষ্টায়। কিন্তু বাদ সেধেছে আজকের বঙ্গ বিজেপির, ব্রহ্মা-বিষ্ণু জুটি, থুড়ি সুকান্ত-শুভেন্দুর নামে চিঠির বয়ানের একটি বাক্য। দ্রৌপদী মুর্মুর বিজয় নিশ্চিত। এই লাইনে বেজায় আপত্তি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের। তাঁর মতে, এটা বিজেপির ঔদ্ধত্য। কলার তোলা দাপট। নিজেদের ওপর এত বিশ্বাস থাকলে, অন্যের সাহায্য চাওয়া কেন বাপু! সৌগতর প্রশ্ন এমনটাই। তাহলে কি বিজেপি নেতাদের এমন উদ্ধত আচরণে, তৃণমূল দ্রৌপদীকে সমর্থনের প্রশ্নে পিছু হটছে? স্পষ্ট কথা বললে তো আর কষ্ট থাকে না। সবকিছুতে নেতারা যে কেন এত ধোঁয়াশা তৈরি করেন কে জানে! এসব নিয়েই কিছু কথা হবে।

কথা হবে, পার্শ্ব শিক্ষকদের পিঠ কতটা দেওয়ালে ঠেকে যাচ্ছে তাই নিয়েও! প্রান্তিক এলাকার স্কুল গুলি শিক্ষকদের অভাবে যেমন ধুঁকছে। তেমনই ধুঁকছেন সেইসব স্কুলের শিবরাত্রির সলতে এক একজন পার্শ্বশিক্ষক। তাঁদের কথা তাই না বললেই নয়। না বললেই নয় রোজ রাত ৮.৫৭। টিভি নাইন বাংলায়।