Nabanna: বাজি কারখানার জন্য পরিত্যক্ত জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ নবান্নের

বাজি কারখানার জন্য পরিত্যক্ত জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিল নবান্ন। জমি চিহ্নিত করে নবান্নে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব জেলাশাসককে। যে সব জেলায় বাজি কারখানা আছে, সেই সব জেলায় কারখানার কাছাকাছি সরকারি খাস বা পরিত্যক্ত কী কী জমি আছে তার তালিকা দিতে বলা হয়েছে।

Nabanna: বাজি কারখানার জন্য পরিত্যক্ত জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ নবান্নের
জমি দেখতে নবান্নের নির্দেশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2023 | 9:56 AM

কলকাতা: গত কয়েক দিনে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে সামনে এসেছে অবৈধ বাজি কারানার রমরমার বিষয়টি। বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে একাধিক জনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কী ভাবে এই সব কারখানা চলছে সে বিষয়টি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই আবহে ইতিমধ্যেই বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ধরপাকড়ও করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বেআইনি বাজি। বেআইনি বাজির কারবার রুখতে রাজ্যে গ্রিন বাজি ক্লাস্টার গড়তে চায় নবান্ন। বাজি উৎপাদন হয় এমন এলাকায় সরকারি জমিতে ক্লাস্টার গড়তে চায় রাজ্য সরকার। এ জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটিও গড়া হয়েছে। সোমবার বাজি কারখানার জন্য পরিত্যক্ত জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিল নবান্ন। জমির তালিকা তৈরি করে মঙ্গলবারের মধ্যে তা নবান্নে পাঠাতে সমস্ত জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাজি কারখানার জন্য পরিত্যক্ত জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিল নবান্ন। জমি চিহ্নিত করে নবান্নে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব জেলাশাসককে। যে সব জেলায় বাজি কারখানা আছে, সেই সব জেলায় কারখানার কাছাকাছি সরকারি খাস বা পরিত্যক্ত কী কী জমি আছে তার তালিকা দিতে বলা হয়েছে। গ্রিন বাজি ক্লাস্টারের জন্য এই তালিকা চাওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা করে বাজি কারখানা গড়তে চায় নবান্ন। ক্লাস্টার তৈরি করে নজরদারি নিয়মিত হলে বেআইনি বাজির রমরমা কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে নবান্ন।

২ ধরনের বাজি ক্লাস্টার গড়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্যে। বড় ব্যবসায়ীদের জন্য এক ধরনের ক্লাস্টার। আর প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার বাজি ব্যবসায়ীদের নিয়ে ছোট ছোট ক্লাস্টার। এই ছোট ক্লাস্টারগুলি ১০ জনকে নিয়ে তৈরি হবে। এ জন্য ২৩ মে বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব। সেখানে ব্যবসায়ী সমিতিকে জমি চিহ্নিতকরণ করতে বলা হয়েছে। সরকার নিজের জমি ব্যাঙ্ক থেকেও জমির তালিকা দেবে। ব্যবসায়ী সমিতিকে সেখান থেকে জমি চিহ্নিতকরণ করতে বলা হয়েছে। এই জমির চিহ্নিতকরণের জন্যই জেলাশাসকদের থেকে জমির তালিকা চাইল নবান্ন।

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ কাণ্ডে থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা নিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই দুই জায়গাতেই বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ রকম বহু জায়গায়া অবৈধ বাজি কারখানা রয়েছে বলে খবর। সেই সব কারখানাকে কাজে লাগিয়ে বোমাও তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তার পরই বেআইনি বাজি বন্ধে পদক্ষেপ শুরু করে নবান্ন।