‘আমরা সিনেমা দেখতে চাই না, ট্রেলার দেখান’, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বললেন বিচারপতি
নারদ মামলায় পার্টি করা হয়েছিল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। মামলার শুনানিতে আজ বলতে ওঠেন আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ।
কলকাতা: নারদ মামলায় হলফনামা দিতে দেরি হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে জরিমানা করা হয়। অথচ সিবিআই -এর ক্ষেত্রে হলফনামা দিতে দেরি হলেও কেন জরিমানা করা হল না? আজ, বৃহস্পতবার হাইকোর্টে এই প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । এই মামলায় শুধু আইনজীবী নয়, পার্টিও করা হয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজ নিজের পক্ষে সওয়াল করতে উঠে হলফনামা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি, অন্যান্য ইস্যু তুলে ধরতে শুরু করলে তাঁকে থামিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সিনেমা দেখতে চাই না, ট্রেলার দেখব’। জবাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেক সময় সিনেমার থেকেও বড় হয় ট্রেলার।’
নিজের পক্ষে সওয়াল করতে উঠে এ দিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলাম আইনজীবী হিসেবে।’ এই মামলা সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সিঙ্গল বেঞ্চের মামলা কী ভাবে ডিভিশন বেঞ্চ গ্রহণ করতে পারে?’ অন্য মামলার ক্ষেত্রে একবার রোস্টার তৈরি হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করা যায় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন নেই, এ কথা বোঝাতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘আজ ট্রেলার দেখান, পুরো সিনেমা দেখানোর দরকার নেই।’ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের। আগামী ১৬ অগস্ট ফের এই মামলার শুনানি হবে।
গত ১৭ মে নারদ মামলায় চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতারের পরই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরের সামনে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিকে, সিবিআই আদালতে চার হেভিওয়েটের জামিনের শুনানি চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। গোটা বিষয়টি সেসময় সিবিআই কর্তা হাইকোর্টে ভার্চুয়ালি গোটা বিষয়টি জানান।
এরপর হাইকোর্টে নারদ মামলায় আসে নাটকীয় মোড়। এই মামলায় যুক্ত করা হয় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও। মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে তাঁদের বক্তব্য জানানোর জন্য হলফনামা দিতে বলে আদালত। কিন্তু এই মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার সওয়াল শেষ হওয়ার পরে হলফনামা পেশ করেন তাঁরা সওয়াল জবাব চলাকালীন তুষার মেহেতার সওয়ালের পর হলফনামা পেশ করে রাজ্য। তুষার মেহেতা তা খারিজের আবেদন জানান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, নির্দিষ্ট সময়ের পরে দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করা হবে না। শুনানির প্রায় ১৫ দিনের শেষে ৯ জুন হলফনামা জমা দিতে গেলে তা খারিজ হয়ে যায়। এ দিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘সিবিআই হলফনামা দিতে দেরি করলেও কেন কোনও জরিমানা করা হল না?’ আরও পড়ুন: গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা বিনয় তামাঙের, পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া রং!