৫৩ পাতার চার্জশিটে ফিরহাদকে কোণঠাসা করতে আঁটঘাট বেঁধে ঘুটি সাজিয়েছে CBI, TV9 বাংলায় এক্সক্লুসিভ সেই অভিযোগনামা
নারদ তদন্তে (Narada Case) আজ আঁটঘাট বেঁধেই আজ হাইকোর্টে যাচ্ছে সিবিআই (CBI)। সাক্ষী থেকে তথ্যপ্রমাণ- চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে চার হেভিওয়েট ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), মদন মিত্র (Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovan Chatterjee) কোণঠাসা করার ঘুটি সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
কলকাতা: নারদ তদন্তে (Narada Case) আজ আঁটঘাট বেঁধেই আজ হাইকোর্টে যাচ্ছে সিবিআই (CBI)। সাক্ষী থেকে তথ্যপ্রমাণ- চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে চার হেভিওয়েট ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), মদন মিত্র (Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovan Chatterjee) কোণঠাসা করার ঘুটি সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ৫৩ পাতার সেই অভিযোগ নামা এক্সক্লুসিভলি TV9 বাংলার হাতে।
৫৩ পাতার চার্জশিটে স্পষ্ট ভাবে ব্য়াখ্যা করা হয়েছে, ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশের সেই ভিডিয়োর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। একটি বহুজাতিক ব্যবসায়ীর সংস্থার আধিকারিক সেজে ম্যাথু স্যামুয়েল যে স্টিং অপারেশন করেছিলেন, তাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের একাধিক নেতা মন্ত্রী বেআইনিভাবে টাকা নিয়েছেন। চার্জশিটে বলা হয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা টাকা নিয়েছেন, সেই টাকা কোথায় জমা করেছেন, কাদের মাধ্যমে তা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত পূর্ণ বিবরণ দিয়েছেন। চার্জশিটে যেমন ভিডিয়ো ফুটেজকে হাতিয়ার করেছে সিবিআই, তার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণকেও সঙ্গে নিয়ে গোটা মামলাটিকে সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
চার্জশিটে সিবিআই ফিরহাদের হাকিমের নাম উল্লেখ করে লিখেছে, “২০১৪ সালে ২ মে-র ভিডিয়োতে ফিরহাদ হাকিমকে দেখা যাচ্ছে। শঙ্কর নায়ের বলে ব্যবসায়ী সেজে ম্যাথু স্যামুয়েল তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেখানে চেতলা অগ্রণী ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারি শুভেন্দু সামন্ত ওরফে বাবুকে ডাকেন ফিরহাদ। তাঁর হাতেই টাকা দিতে বলেন। ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দিচ্ছেন, সেই টাকা একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে।”
সিবিআই চার্জশিটে এও উল্লেখ করে, সিএফএসএল গান্ধীনগর, সিএফএসএল চণ্ডীগড়ে এই ভিডিয়োর ভয়েসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আলাদা করে ফিরহাদ হাকিমের কন্ঠস্বর সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেটিকেও মিলিয়ে দেখা হয়। প্রমাণিত হয়, ওই কন্ঠস্বর ফিরহাদ হাকিমেরই।
পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ হিসাবে সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করে, ওই টাকা চেতলা অগ্রণী ক্লাবের একটি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। এবং সেটি জমা পড়েছে চেন্নাইয়ের ওয়েল উইশার নামে। ভিডিয়োতে দেখা যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিরই কন্ঠস্বর মিলিয়ে দেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারদ মামলায় জোড়া শুনানিতে নজর কলকাতা হাইকোর্টে, লাইভে এসে শান্তি বজায়ের আবেদন ফিরহাদ-কন্যার
এই মামলায় ৬১ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে। সিবিআই-এর দাবি, জন প্রতিনিধি হিসাবে তাঁরা কীভাবে ঘুষ নিলেন? দুর্নীতি দমন আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সিবিআই।