ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকে লক্ষাধিক টাকার জিনিসের বিল গায়েব! ‘তদন্ত কমিটি’ নিয়েও টালবাহানা
National Medical College: অতিমারির সময় হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছিল বহু সামগ্রী। সেখান থেকেই ৬৪টি বিল গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
সৌরভ দত্ত: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিল গায়েব! একমাস পরেও কিনারা হল না বিল-রহস্যের। হাওড়ার একটি সংস্থা হাসপাতালে অফিস সামগ্রী সরবরাহের বরাত পায়। অভিযোগ, সেই সংস্থার ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৫৩ টাকার বিল অফিস থেকে খোওয়া যায়। বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালে তদন্তের নির্দেশ দেন এমএসভিপি বলে দাবি সূত্রের। বিলের হদিশ পেতে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের চিকিৎসকের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন হয়। কিন্তু এক মাস পরেও বিলের হদিশ পেল না কমিটি। প্রশ্ন উঠছে, ন্যাশনাল মেডিক্যালের মতো হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ থেকে কীভাবে উধাও হয়ে গেল ৬৪টি বিল!
মেডিক্যাল কলেজে বিল গায়েব রহস্য। অতিমারির সময় হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছিল বহু সামগ্রী। সেখান থেকেই ৬৪টি বিল গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। যার প্রেক্ষিতে মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপ্যাল (MSVP) শ্যামাপদ পতি তদন্ত কমিটি তৈরির নির্দেশ দেন বলে টিভি নাইন বাংলার কাছে নথিও উঠে এসেছে।
বিল-রহস্য
*হাওড়ার একটি সংস্থাকে অফিস সামগ্রী সরবরাহের বরাত
*সংস্থার ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৫৩ টাকার ৬৪টি বিল অফিস থেকে উধাও
*বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানায়
*এমএসভিপি-র নির্দেশে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত
*এক মাস পরেও বিলের হদিশ পেল না কমিটি
প্রথমে তদন্তের কথা অস্বীকার করলেও পরে এমএসভিপি শ্যামাপদ পতি বলেন, ‘বিষয়টি মিটে গিয়েছে।’ তবে তদন্তে কী উঠে এল সে বিষয়ে খোলসা করে তিনি কিছু বলেননি। অন্যদিকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক শুভ্রদীপ মাহাতো এ প্রশ্নের কোনও জবাবই দেননি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে এমন কী ঘটল যা এতটা অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, এক মাস পার করলেও সে রিপোর্ট জমা পড়েনি। আরও পড়ুন: ‘খেলা হবেটা আজকে খুব পপুলার হয়ে গেছে, এটা মানুন ছাই না মানুন…’, নেতাজি ইনডোরে বললেন মমতা