Green Tribunal: কলকাতা-হাওড়ায় অবিলম্বে বাতিল করতে হবে পুরনো গাড়ি, একগুচ্ছ নয়া নির্দেশ গ্রিন ট্রাইবুনালের

Green Tribunal: কলকাতা ও হাওড়ার পরিবেশ নিয়ে রয়েছে বিশেষ উদ্বেগ। বায়ু শব্দ দূষণ নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হল সুভাষ দত্তের করা মামলায়।

Green Tribunal: কলকাতা-হাওড়ায় অবিলম্বে বাতিল করতে হবে পুরনো গাড়ি, একগুচ্ছ নয়া নির্দেশ গ্রিন ট্রাইবুনালের
পুরনো গাড়ি বাতিলের নির্দেশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2022 | 7:17 PM

কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের পরিবেশের পরিস্থিতি নিয়ে বারবারই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। বায়ু দূষণ বা শব্দ দূষণ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে নানা নির্দেশিকা দেওয়া সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। এবার পরিবেশ সংক্রান্ত একটি মামলায় ফের বেশ কিছু নয়া নির্দেশ দিল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।

কলকাতা হাইকোর্টে ২০১৪ সালে মূল মামলাটি করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। পরে সেই মামলা যায় পরিবেশ আদালতে। এ দিন সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সুভাষ দত্ত আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগের মতোই এই সব নির্দেশ খাতা-কলমে থেকে যাবে না তো!

বর্জ্য সংক্রান্ত নির্দেশ

ধাপা বা এরকম যে সমস্ত জায়গায় সাধারণত কঠিন বর্জ্য ফেলা হয়, সেখানে বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে।

দু ধরনের বর্জ্য, অর্থাৎ ব্যবহারযোগ্য এবং অপব্যবহারযোগ্য বর্জ্য আলাদা করতে হবে।

পুনরায় ব্যহারযোগ্য, এমন বর্জ্য পদার্থকে আলাদা করার জন্য যে যন্ত্র লাগে, তার সংখ্যা বাড়াতে হবে।

বর্জ্য আলাদা করার ক্ষেত্রে পুরসভার তরফে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে হবে।

পুরনো গাড়ি বাতিল সংক্রান্ত নির্দেশ

কলকাতা, হাওড়া সহ রাজ্যের সব জায়গায় ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি যাতে বাতিল করা হয়, তেমন নির্দেশ আদালতের।

শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি নয়, স্টেজ ফোরের নীচে রয়েছে এমন গণপরিবহন বাতিল করার কথাও বলা হয়েছে। ছ মাসের মধ্যে যেন সব বাতিল করা হয়।

সিএনজি এবং বিদ্যুৎ দ্বারা চলে, এমন বাসের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে আর সেটা অত্যন্ত দ্রুত করতে হবে।

যদিও রাজ্যের হলফনামায় দেখা যাচ্ছে যে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে, তবুও সমবেত প্রচেষ্টার অভাব রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

বায়ু দূষণ নিয়ে নির্দেশ

কলকাতা ও হাওড়ার দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল CSIR-NEERI-কে। তাদের দেওয়া রিপোর্ট অবিলম্বে বাস্তবায়িত করতে হবে। তিন মাসের মধ্যে কার্যকর করতে হবে

কঠিন বর্জ্য পোড়ানো হলে ও বিভিন্ন প্লান্ট থেকে সর্বোচ্চ দূষণ ছড়ায়।

শব্দ দূষণ সংক্রান্ত নির্দেশ

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যাতে শব্দ দূষণ নিয়ে নজরদারি চালাতে পারে, তার জন্য যন্ত্রপাতি কেনার কথা বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য কোনও ঘোষণা করার সময় শব্দযন্ত্রে সাউন্ড লিমিটার ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।

শব্দ দূষণের বিষয়টিতে নজর দেওয়ার জন্য প্রতিটি থানা এলাকায় টাস্ক ফোর্স গঠন করার কথা বলা হয়েছে। নোডাল অফিসার নিযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মোটরসাইকেল বা অন্য়ান্য যানবাহন থেকে যাতে শব্দ দূষণ না ছড়ায়, তার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে নজরদারির নির্দেশ।