Na Bollei Noy: কার ‘অনুপ্রেরণায়’ লড়ছেন ওঁরা ৫০০ দিন ধরে? যাঁদের কথা ‘না বললেই নয়’
Na Bollei Noy: আগামিকাল ওদের আন্দোলনের ৫০০ দিন। হ্যাঁ, ৫০০ দিনের একটা আন্দোলন, আমাদের রাজ্যে হয়েছে, এই মানি এবং মাসল পাওয়ারের সামনেও হয়েছে।
ঠিক কোথা থেকে শুরু করা যায় দুর্নীতির ইয়া বড় উপাখ্যান? শুরু আপনি যেখান থেকেই করুন, সে পথ এসে মিশবে ধর্মতলায়। কারণ যাঁদের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনে কর্মখালি ছিল না, তাঁদের ঠিকানা ধর্মতলা। একদম ঠিকঠাক বললে, গান্ধীমূর্তির নীচে। তাঁরা একদম আমাদের ঘরের লোক, আপনজন। পড়াশোনা করেছেন, পরীক্ষা দিয়েছেন, পাশও করেছেন, কিন্তু চাকরি? পাননি। পাননি কারণ, নেতারা চাকরি বিক্রি করে দিয়েছেন। আমলারা নাকে সর্ষের তেল দিয়ে, নেতাদের তেলা মাথায় আরও তেল দিয়েছেন। আর ওই ছেলেমেয়েরা? হকের চাকরি চেয়ে দাঁতে দাঁত চেপে, রাস্তায় বসে থেকেছেন। লোকে বলেছে, অসম লড়াই। ওরা হাল ছাড়েননি। পুলিশ এসেছে, ভেঙে দিয়েছে মঞ্চ, ছিঁড়ে দিয়েছে মাথার ওপরের ছাউনি। ওরা ভয় পাননি। কেঁদেছেন তবু মাথা ঝোঁকাননি। কোনও শক্তি, ধমকানি, চমকানি ওদের দমাতে পারেনি। ওরা রাস্তায় ছিলেন বলেই, দেশশুদ্ধু লোক জেনেছে, বাংলায় চাকরি বিক্রি হয়ে গেছে। বাংলায় শিক্ষা কখন যে শিল্প হয়ে গেছে, আর কিছু লোক টু পাইস কামিয়ে, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের স্বপ্ন চুরমার করে, নিজেরা কামিনী-কাঞ্চনে ডুব দিয়েছেন। ওরা ছিলেন বলেই, হাইকোর্টে মামলা হয়েছে, সিবিআই এসেছে, ইডি এসেছে, প্রভাবশালী ধরা পড়েছেন। আগামিকাল ওদের আন্দোলনের ৫০০ দিন। হ্যাঁ, ৫০০ দিনের একটা আন্দোলন, আমাদের রাজ্যে হয়েছে, এই মানি এবং মাসল পাওয়ারের সামনেও হয়েছে।
এখন, ওদের লড়াইকে স্যালুট করার সময়। ওদের আরও শক্তি জোগানোর সময়। তাই এখন, ওদের কথা বলার সময়। কথা হবে এই অসম লড়াই থেকে কী শিখল এরাজ্যের বিরোধীরা? অনুপ্রেরণা পেল? পেলে কোথায় গেল? রাজনৈতিক পর্যটকরা গান্ধীমূর্তির নীচে ঘুরতে গিয়েই কি দায় সেরে ফেলেছেন? এমন দুর্নীতির প্যান্ডোরার বাক্স খুলে যাওয়ার পরও উথাল পাতাল করে দেওয়া আন্দোলন হবে না? শাসকের ঘুম কেড়ে নেওয়া, জান কবুল লড়াই হবে না? স্লোগান উঠছে, মিছিল হচ্ছে, জেলায় জেলায় শহরে শহরে। কিন্তু তা কি যথেষ্ট হচ্ছে?
এদিকে আবার নাকি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে? আরও না কি গোপন তথ্য সামনে এসেছে? হাসপাতালের আশ্রয় ছেড়ে, ধৃত মন্ত্রী এবং তাঁর বান্ধবী এখন জেরার মুখোমুখি। সেই সব কথা আজ হবে। হবে মাদ্রাসার আন্দোলনকারীদের কথাও। কারণ এই কথাগুলো তো না বললেই নয়। টিভি নাইন বাংলায়, রাত ৮.৫৭। দেখা হবে।