Jitendra Tewari: কম্বল কেসে উঠল বাড়ি ফেরার নিষেধাজ্ঞা, ফের আসানসোলে যেতে পারবেন জিতেন্দ্র
Jitendra Tewari: শর্তে বলা হয়, শুনানির দিন দিতে হবে হাজিরা। আসানসোল পুর এলাকায় আর তিনি ঢুকতে পারবেন না। এরই মাঝে পঞ্চায়েত ভোটের সময় তিনি দুর্গাপুরে প্রচারে এসেছিলেন। কিন্ত, আদালতের নির্দেশের কারণেই আসতে পারেননি আসানসোলে। সোজা কথায়, প্রায় অর্ধ বছর নিজের শহরের বাইরেই ছিলেন জিতেন্দ্র।
কলকাতা: আদালতের নির্দেশে অবশেষে স্বস্তি। উঠে গেল আসানসোল (Asansol) ঢোকার নিষেধাজ্ঞা। হাইকোর্টের নির্দেশে আসানসোলে ঢুকতে আর বাধা রইল না জিতেন্দ্র তিওয়ারির। থাকতেও রইল না বাধা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণও হয়। অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন জিতেন্দ্র জায়া কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যাওয়ার পরেই শুরু হয় কম্বল বিতরণ। তখনই এলাকায় তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সমবেত জনতার মধ্যে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক হুড়োহুড়ি। অনেকেই মাটিতে পড়ে যান। ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। ঘটনায় মারা যান ঝালি বাউরি নামে মহিলা। তাঁর পরিবারের সদস্য পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মামলাতেই ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৮ মার্চ রাজধানীর কাছে ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ওই দিন দিল্লির কাছে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে জিতেন্দ্রকে। একমাস ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হলেও দেওয়া হয়েছিল বেশ কিছু শর্ত।
শর্তে বলা হয়, শুনানির দিন দিতে হবে হাজিরা। আসানসোল পুর এলাকায় আর তিনি ঢুকতে পারবেন না। এরই মাঝে পঞ্চায়েত ভোটের সময় তিনি দুর্গাপুরে প্রচারে এসেছিলেন। কিন্ত, আদালতের নির্দেশের কারণেই আসতে পারেননি আসানসোলে। সোজা কথায়, প্রায় অর্ধ বছর তিনি নিজের শহরের বাইরেই ছিলেন। যেতে পারেননি বাড়িতে। অবশেষে হাইকোর্টেরই নির্দেশে মিলল স্বস্তি। উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা।