শেষ কথা বলবেন দিলীপরা, সংগঠনে রদবদল নিয়ে কঠোর অবস্থান বিজেপির
অতিসম্প্রতি বিজেপির অন্দরে পদাধিকারিক ব্যক্তিদের সরানো নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠছে, একাধিক জেলা সভাপতিরা বহু জায়গায় নিজের ঘনিষ্ঠ লোককে এনে বসিয়ে দিচ্ছেন। এবং সেটা দিলীপদের অগোচরেই হচ্ছে।
কলকাতা: রাজ্য সংগঠনে যে কোনও রদবদল হোক বা ছোট-বড় সিদ্ধান্ত। শেষ কথা বলবেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর অনুমতি ছাড়া কাউকে কোনও পদে আনাও যাবে না, বদল করাও যাবে না। একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকেও। যে কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁরও অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। শুক্রবার মুরলীধর সেন লেন থেকে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অতিসম্প্রতি বিজেপির অন্দরে পদাধিকারিক ব্যক্তিদের সরানো নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠছে, একাধিক জেলা সভাপতিরা বহু জায়গায় নিজের ঘনিষ্ঠ লোককে এনে বসিয়ে দিচ্ছেন। এবং সেটা দিলীপদের অগোচরেই হচ্ছে। বিধানসভা ভোটের মাসদুয়েক বাকি থাকতে বিষয়টি নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বিতর্ক দাঁড়ি টানতেই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। দিলীপ ঘোষ বা অমিতাভ চক্রবর্তীর অনুমতি ছাড়া এই কাজ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে তৃণমূল ও বাকি দলগুলি থেকেও ছোট মাপের নেতা ও কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। যার জেরে বহু এলাকায় ঘাসফুল থেকে পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা জায়গায় বিজেপির বুথ সভাপতি-সহ বিভিন্ন কমিটির পদাধিকারি ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর সেটা করা হয়েছে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সম্মতি ছাড়াই।
আরও পড়ুন: দশপ্রহরণধারিণী মমতার হাতে বধ হবে দিল্লির মহিষাসুররা: অভিষেক
এই ধরনের কার্যকলাপ রুখতেই আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। জেলা কমিটি, মণ্ডল সভাপতি, মণ্ডল কমিটি-সহ যে কোনও স্তরে রদবদলের জন্য দিলীপ ঘোষ ও অমিতাভ চক্রবর্তীর অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রণনীতি যেন কাকপক্ষ্মীও না টের পায়, পাঁচতারা হোটেল থেকে বিজেপির ভোট পরিচালনা