CV Ananda Bose: কোনও রাজনৈতিক দলকে উপদেশ দেওয়ার কেউ নই, আনন্দ বোসের মতো কাজ করছি: রাজ্যপাল
CV Ananda Bose: রিষড়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, "যা হয়েছে তা কাম্য নয়। ওখানে যা হয়েছে সেটা ঘটা উচিত হয়নি। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।"
কলকাতা : একেবারে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যপালে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমান রাজ্যপাল মহোদয়ের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বা জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankar) মতো ভূমিকা আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পাইনি।” এবার তারই উত্তর দিয়ে দিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। টিভি-৯ বাংলাকে বলেন, “আমি আনন্দ বোসের মতো কাজ করছি। এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।” এরপরই তিনি বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দলকে উপদেশ দেওয়ার আমি কেউ নই। আমি আইনের শাসন মানি। সংবিধান মেনে কাজ করি। আমি খুব ভাল করে জানি সংবিধান মেনে রাজ্যপাল হিসাবে আমাকে কী করতে হবে। আমি যে শপথ নিয়েছিলাম সেখানেই স্পষ্ট বলা আছে বাংলার মানুষের জন্য যা সবথেকে ভাল হবে সংবিধান মেনে আমি সেই কাজই করব।”
গত কয়েকদিনে রাজ্যের একাধিক জায়গায় উত্তেজনা বাধে। প্রথমে শিবপুর, তারপর রিষড়া। বিগত কয়েকদিনে বাংলায় দফায় দফায় তৈরি হয়েছে অশান্তির বাতাবরণ। এরইমধ্যে শিলিগুড়িতে জি-২০ প্রস্তুতি বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় ফিরে এসেছেন সিভি আনন্দ বোস। কলকাতায় পৌঁছেই রাজভবনে না গিয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে রাজ্যপালের কনভয় পৌঁছে যায় রিষড়ার গন্ডগোল কবলিত এলাকায়। ঘুরে দেখেন রেলগেট চত্বর এবং রিষড়া স্টেশন। গত রাতে এখানেই সবথেকে বেশি অশান্তি হয়েছিল। এরপরই টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে যারা অশান্তি তৈরি করছে তাদের কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল। সাফ বললেন, “যা হয়েছে তা কাম্য নয়। ওখানে যা হয়েছে সেটা ঘটা উচিত হয়নি। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। গুণ্ডা-মাস্তানরা যদি আইন নিজের হাতে তুলে নেয় তবে তা কখনই দেশের গণতন্ত্রের জন্য ভাল নয়।”
এরপরই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “অপরাধীদের, দুষ্কৃতীদের রাজনীতিতে কোনও জায়গা নেই। মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে আমরা অবশ্যই তা নিশ্চিত করব।” অন্যদিকে হাওড়া হোক বা রিষড়া দুই ঘটনাতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিরোধীরা। রাজ্যপালও কী মনে করেন পুলিশ ঠিক মতো কাজ করছে না? উত্তরে তিনি বলেন, “ভারত চায় প্রত্যেকে তাঁদের ডিউটি নিষ্ঠার সঙ্গে করবে। সরকার থেকে থেকে শুরু পুলিশ, সাংবাদমাধ্যম, সাধারণ মানুষ সকলকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই সভ্য সমাজের নাগরিক নিয়মগুলি বজায় থাকবে।” প্রসঙ্গত, রিষড়ার উত্তেজনার ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। গোটা বিষয়টি কেন্দ্রকেও জানিয়েছে। মঙ্গলবার সকালেই রিষড়ার ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এবার ইতিমধ্যেই রিষড়ার ঘটনা নিয়ে বাংলার সরকারের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)।