TET vs TET: ‘আমরা লিগ্যালি কারেক্ট, ওরা মরালি কারেক্ট’, কেন টেটে আমরা-ওরা?

Salt Lake TET Agitation: কেউ লড়ছেন আট বছর ধরে, কেউ লড়ছেন পাঁচ বছর ধরে। প্রত্যেকেরই দাবি একই, দেওয়া হোক নায্য চাকরি। কিন্তু আন্দোলনকারীদের মধ্যেই এবার তৈরি হচ্ছে বিরোধ।

TET vs TET: 'আমরা লিগ্যালি কারেক্ট, ওরা মরালি কারেক্ট', কেন টেটে আমরা-ওরা?
টেট বনাম টেট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2022 | 5:09 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে জলঘোলা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এবার তৈরি হল এক নজিরবিহীন পরিস্থিতি। হকের চাকরি পাওয়ার দাবিতে যাঁরা রাস্তায় নেমেছেন, তাঁদের মধ্যেই এবার শুরু ‘লড়াই’। ২০১৪ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁদের দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই। আর ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছিলেন, তাঁরা বলছেন, ‘আমরাই যোগ্যতম।’ নিয়োগটাই এতদিন প্রশ্নের মুখে ছিল। আর এবার প্রশ্ন, কাদের নিয়োগ হবে সেটা নিয়ে। সল্টলেকের রাস্তায় কয়েকশ মিটারের ব্যবধানে অবস্থান দুই পক্ষের। কেন এই আমরা-ওরা?

কী বলছেন ২০১৪-র প্রার্থীরা?

‘কোনও সংঘাত নেই’

দুবার পরীক্ষা দেওয়ার পরও কেন তাঁদের ফের ইন্টারভিউ দিতে হবে? প্রশ্ন তুলেই রাস্তায় বসেছিলেন ২০১৪-র টেট প্রার্থীরা। গত কয়েকদিন ধরেই চলছে তাঁদের অনশন আন্দোলন। বৃহস্পতিবার ২০১৭-র প্রার্থীরা পথে নামতেই ১৪-র টেট প্রার্থীরা দাবি করেছেন, তাঁদের কারও সঙ্গে কোনও সংঘাত নেই। তাঁরা শুধু চান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেই মতো নিয়োগ হোক।

‘পর্ষদ পাকা মাথায় খেলছে’

২০১৪-র প্রার্থীদের আরও দাবি, প্রচুর আসল খালি আছে। তাই তাঁরা চান, দুই পক্ষের প্রার্থীদেরই নিয়োগ করা হোক। প্রার্থীরা উল্লেখ করেন, সরকার বিধানসভায় জানিয়েছে লক্ষাধিক শূন্যপদ রয়েছে প্রাথমিকে। তাই সব প্রার্থীদের নিয়োগ করলেও কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। প্রার্থীরা বলছেন, দু পক্ষের দাবি একই। অথচ পর্ষদ পাকা মাথায় খেলে এই বিরোধ তৈরি করছে।

কী বলছেন ২০১৭-র প্রার্থীরা?

২০১৭-র প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা প্রথমে ট্রেনিং নিয়েছেন পরে টেট পরীক্ষায় পাশ করেছেন। তাঁরাই প্রথম নিয়ম মেনে চাকরির আবেদন করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের বসিয়ে রেখে ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৫০০ অবৈধ নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও ২০১৪-র প্রার্থীরা বলছেন, তাঁদের যখন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল, তখন আগে থেকে ট্রেনিং নেওয়ার নিয়ম ছিল না, তাই তাঁদের দাবিও নায্য।

‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরানো হোক’

প্রার্থীদের মতে, ২০১৪-র প্রার্থীরা যে দুর্নীতির কথা বলছেন, সেই দুর্নীতিতে যাঁদের চাকরি চুরি হয়েছে, তাঁদের চাকরি ফেরানো হোক, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু নিয়োগ করা হোক ২০১৭-র প্রার্থীদের। তাঁদের মতে, ‘২০১৭-র প্রার্থীরা লিগ্যালি কারেক্ট, আর ২০১৪-র প্রার্থীরা মরালি কারেক্ট। যদিও ১৪-র প্রার্থীরা এই দাবি মানতে নারাজ।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথে বসেছেন ১৪-র প্রার্থীরা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে সল্টলেকে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ২০১৭-র প্রার্থীরা।