Nurse Transfer: এক লিস্টে বদলি ১২৫৬ নার্স! রিলিভার ছাড়াই কীভাবে সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন
Nurse Transfer: জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বক্তব্য, সাত দিনের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বদলি হওয়া নার্সদের বদলে অন্য কাউকে সে জায়গায় আনা হয়নি।
কলকাতা: স্বাস্থ্য দফতরের বদলি নির্দেশে বিতর্ক। একযোগে ১২৫৬ স্টাফ নার্সকে বদলি। বিভিন্ন স্তরের হাসপাতাল থেকে বদলি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। রিলিভার ছাড়াই সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত কার্যকরের নির্দেশ। রিলিভার ছাড়া নার্সরা বদলি হলে পরিষেবার কী হবে! প্রশ্ন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
১ লিস্টে ১২৫৬ বদলি!
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় মাথায় হাত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। একযোগে ১২৫৬ নার্সের বদলি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। চারটি স্বাস্থ্য জেলা-সহ রাজ্যের ২৭টি জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন স্তরের হাসপাতালে কর্মরত স্টাফ নার্স এবং হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের বদলি করেছে স্বাস্থ্য ভবন।
জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বক্তব্য, সাত দিনের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বদলি হওয়া নার্সদের বদলে অন্য কাউকে সে জায়গায় আনা হয়নি। প্রতিটি জেলা থেকে গড়ে পঞ্চাশ জন নার্সকে মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, মহকুমা, স্টেট জেনারেল, গ্রামীণ হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সরিয়ে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তার বক্তব্য
জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা বলছেন, বিকল্প স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া একযোগে এত নার্স বদলি হলে হাসপাতালের পরিষেবার কী হবে? রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন. অতিরিক্ত নার্স করা হয়েছে। তাঁদেরকেই শূন্যস্থান পূরণে নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি আরও ৬ হাজার নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তার কথায়, “জরুরি পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য শূন্যস্থানে পুনর্নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বদলির বিকল্প হিসাবে অতিরিক্ত নার্স ইতিমধ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। আরও ৬০০০ হাজার নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।”
সমস্যা কোথায়?
উল্লেখ্য, ১২৫৬ জন যে স্টাফ নার্সকে বদলি করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই গ্রেড ২ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে কর্মরত ছিলেন। কলকাতা, জেলার মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল, গ্রামীণ হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তাঁরা কর্মরত ছিলেন। আচমকাই এই বদলির নির্দেশে বলা হয়েছে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের কাজ করতে হবে। তাঁরা ন্যাশনাল ইস্টস্টিউট অফ হেলথের কোর্স করেই বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করছিলেন। কিন্তু সমস্যা সেখানে নয়। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে রাজি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যদি কোনও রিলিভার না আসে, তাহলে ব্যাহত হবে চিকিৎসা পরিষেবা। কারণ অর্ডারে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনও রিলিভার ছাড়াই সাত দিনের মধ্যে তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে।
এখন টিকাকরণ কর্মসূচি, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি, পাশাপাশি যেভাবে বাড়ছে ওমিক্রনের ধাক্কা- তাতে এতজন নার্স একসঙ্গে চলে গেলে সমস্যা হবেই। এই বিভিন্ন পরিষেবা ব্যাহত হবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
রাজ্যে ২৩ টি জেলা ও চারটি স্বাস্থ্য় জেলা রয়েছে- মোট ২৭টি। সেখানে গড়ে ৫০ অর্থাৎ কলকাতাতেই ১৪৫ জনের বদলি হয়েছে। আলিপুরদুয়ারেও ৭০ জনের বদলি হয়েছে। ফলে মাথায় হাত স্বাস্থ্য কর্তাদের। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বদলির সময়ে রিপ্লেসমেন্ট অর্ডারও থাকে। অর্থাৎ যাঁরা বদলি হচ্ছেন, তাঁদের জায়গায় কারা আসছেন, সেটাও উল্লেখ থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা হয়নি। সমস্যা সেখানেই। এই পরিস্থিতির কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব, সেটাই ভাবছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
আরও পড়ুন: বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা, এখনই কি শীত বিদায়? খুশির খবর শোনালেন না আবহাওয়াবিদরা