Molestation in Kolkata: চাকরির ইন্টারভিউয়ের টোপ দিয়ে হোটেলে ডাক, যুবকের কদর্য অভিসন্ধি বুঝতে পারেননি তরুণী
Molestation in Kolkata: অভিযোগ, ওই হোটেলের বদ্ধ ঘরে রেহান ওই তরুণীর শ্লীলতাহানি করে। এরপর তরুণীকে ভয় দেখিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, গয়না ইত্যাদি কেড়ে নেয়।
কলকাতা : ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ কলকাতায়। কলকাতার এক হোটেল চাকরির টোপ দিয়ে ডাকা হয় তরুণীকে। তারপর সেই বদ্ধ ঘরে তরুণীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত যুবকের নাম রেহান ওরফে সারিক আহমেদ। এখানেই থেমে থাকেনি অভিযুক্ত। এরপর তরুণীর মোবাইল ফোন এবং সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও পরনের গয়নাও হাতিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কয়েকদিন আগে। অভিযুক্ত যুবক ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কলকাতার হোটেলে ডেকেছিল তরুণীকে। তারপর তরুণীর শ্লীলতাহানির পর কলকাতা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। ওই কিশোরী বড়বাজার থানা অভিযোগ জানিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী উত্তর কলকাতার বাসিন্দা। নিউটাউনের এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন ওই তরুণী। কিন্তু নিজের কেরিয়ারে আরও উন্নতি চাইছিলেন তিনি। বর্তমান চাকরির থেকে আরও ভাল চাকরি খুঁজছিলেন তরুণী। ঠিক সেই সময়েই সোশ্যাল মিডিয়া মারফত অভিযুক্ত রেহান ওরফে সারিক আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। রেহান বুঝতে পেরেছিল ওই তরুণীর চাকরি ভীষণ দরকার। আর এই বিষয়টিকেই কাজে লাগিয়ে মাথায় ফন্দি এঁটেছিল অভিযুক্ত যুবক। তরুণীকে ভাল চাকরির সুযোগ দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত। সেই মতো ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকে। চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য তরুণীকে সে মধ্য কলকাতার এক হোটেলে ডেকে পাঠায়।
তখনও পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারেননি তরুণী। ভেবেছিলেন আর পাঁচটা সাধারণ ইন্টারভিউয়ের মতোই। ভাল চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন তখন তাঁর মাথায় ঘুরছে। অন্য কোনওরকম চিন্তা তখন তাঁর ভাবনাতেও আসেনি। কিছু না বুঝেই ইন্টারভিউ দিতে পৌঁছে যান মধ্য কলকাতার ওই হোটেলে। রেহানের ফন্দি তখনও বুঝতে পারেননি তিনি। এরপর যখন বুঝতে পারেন, তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। অভিযোগ, ওই হোটেলের বদ্ধ ঘরে রেহান ওই তরুণীর শ্লীলতাহানি করে। এরপর তরুণীকে ভয় দেখিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, গয়না ইত্যাদি কেড়ে নেয়। ঘটনার কথা সেদিন কাউকে বলতে পারেননি তরুণী। কিন্তু পরের দিন তিনি সোজা চলে যান বড়বাজার থানায়। গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানান তরুণী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পুলিশ অফিসাররা। জানা যায়, ওই যুবক ঝাড়খণ্ডে রয়েছে। সেই মতো বড়বাজার থানার একটি দল যায় ঝাড়খণ্ডে। প্রতিবেশী রাজ্যে অভিযুক্ত রেহানের নামে খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। শেষে পূর্ব সিংভূমের পটনা কলোনি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ওই যুবককে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ধৃত যুবকের থেকে নির্যাতিতা তরুণীর মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে পুলিশ।