Building collapse in Kolkata: ‘খুনের দায় কার?’, শহরে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়তেই সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা
Building collapse in Kolkata: এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। ঘটনার পরে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার লোকজন। ১৮ জন ঠিকা শ্রমিককেও ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।
কলকাতা: গার্ডেনরিচের কাণ্ডের ছায়া যেন দেখা যাচ্ছে শহরের নানা প্রান্তে। কখনও পিকনিক গার্ডেন তো কখনও চেতলা। ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। একদিন আগেই উত্তর দমদমের শরৎ কলোনিত নির্মীয়মান বাড়ি ভেঙে এক গৃৃহবধূর মৃত্যু হয়। মৃতার নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী (৪৮)। পাঁচতলা ওই বিল্ডিংয়ের দেওয়ার গাঁথার কাজ চলছিল বলে খবর। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হঠাৎই ওই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে নিচে পড়ে যায় দেওয়াল। সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন কেয়া দেবী। ইটের আঘাতে গুরুতরভাবে জখম হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। ঘটনার পরে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার লোকজন। ১৮ জন ঠিকা শ্রমিককেও ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।
রাতেই ঘটনাস্থলে যান উত্তর দমদম পুরসভার পুর প্রধান বিধান বিশ্বাস। মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিধান বলছেন, বেআইনি কিছু থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আমি গর্ব করে বলতে পারি উত্তর দমদমে সেরকম কোনও অবৈধ নির্মাণ হয় না। দমদম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্রও যান ঘটনাস্থলে। ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেন তিনি। বলেন, সারা বাংলা জুড়ে এই জিনিস চলছে। উত্তর দমদম পুরসভা এলাকার মানুষ প্রতিদিন এই জিনিস দেখছে। বাংলাজুড়েই বেআইনি নির্মাণের রমরমা। লোকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মারা যাচ্ছে। এত নির্লিজ্জ সরকার আমি দেখিনি।
সুর চড়িয়েছে বামেরাও। দমদমের সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, “দমদমের মধ্যে গার্ডেনরিচ হয়ে যাচ্ছে। আমার দাবি যথাযোগ্য শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাট ভেঙে পড়ছে কেন, টাকা খাওয়া হচ্ছে নাকি কী হচ্ছে, কী গোলযোগ আছে সব খতিয়ে দেখতে হবে। মানুষের এই খুন, মৃত্যুর দায় কার?”
পশ্চিমভবঙ্গ মিউনিসিপ্য়াল আইন বলছে পাঁচতলা বা ছ’তলা বাড়ি করার জন্য বাড়ির সামনের রাস্তা অন্তত ১০ ফুট চওড়া হওয়া দরকার। কিন্তু, দমদমের যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে সেখানের রাস্তা ১০ ফুটের নয় বলে খবর। তবে কী অবৈধভাবে নির্মাণ হচ্ছিল? কীভাবে প্রশাসন নির্মাণের অনুমতি দিল? ভিতরে রয়েছে অন্য গল্প? প্রশ্ন তুলছেন এলাকার লোকজন।