ED: একই কায়দায় দুই ‘বাঘ’ শিকার ইডির
ED: হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আসানসোল জেলে যেতেই সময় নষ্ট না করে তাকে জেলে গিয়ে জেরা করে ইডি। তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগে জেলের ভিতরেই গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। একইভাবে গ্রেফতার শাহজাহানও।
কলকাতা: দু’জনেই ‘বাঘ’। একজন বীরভূমের। অন্যজন সন্দেশখালির। অভিযোগও প্রায় একই। দুর্নীতির। একজনের বিরুদ্ধে গরুপাচার মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ। অন্যজনের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির টাকা পাচার ও জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। দু’জনকেই জেলের ‘খাঁচা’য় ঢুকে সেখান থেকে একইভাবে গ্রেফতার করেছে ইডি। প্রথমজন বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। দ্বিতীয়জন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান শেখ। দু’জনই শাসকদলের তাজা নেতা। ‘সম্পদ’। দুই নেতারই পরিণতি শেষ পর্যন্ত একই হয়েছে ইডি-র দৌলতে।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে ঘটনার পরম্পরা এমন ছিল যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির যাত্রাভঙ্গ করতে প্রথমে মাঠে নামে জেলা পুলিশ। একটি খুনের মামলায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। তবে লাভ হয়নি, শেষ পর্যন্ত তাকে সিবিআই হেফাজতে যেতেই হয়। সিবিআই প্রথমে গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল। হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আসানসোল জেলে যেতেই সময় নষ্ট না করে তাকে জেলে গিয়ে জেরা করে ইডি। তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগে জেলের ভিতরেই গ্রেফতার করা হয়। একই ছবি শাহজাহানের ক্ষেত্রেও।
একইভাবে শাহজাজানকেও রাজ্য পুলিশ প্রথমে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তারপর জেল হেফাজতে যেতেই বসিরহাট জেলের ভিতরেই তাকে গ্রেফতার করে ইডি। দু’জনের অবশ্য আরও কিছু মিল আরও রয়েছে। অনুব্রতর ক্ষেত্রে দুর্নীতির দায়ে তাঁর মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়। একইভাবে শাহাজানের ক্ষেত্রেও তাঁর পরিবার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। তাঁদেরও গ্রেফতারের সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।
কষ্টে থাকা কেষ্ট ও সন্দেশখালির শাহজাহান, উভয়ই একসময়ের এলাকার ‘বাঘ’। রীতিমতো প্রভাবশালী। সেই প্রভাবই এজেন্সির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে। বর্তমানে কেষ্টর ঠিকানা হয়েছে তিহাড় জেল। ভবিষ্যতে শাহাজানের সেই ঠিকানায় যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখন দেখার জল কোনদিকে গড়ায়।