Bangladesh-Pakistan: পদ্মাপাড়ে জঙ্গি চাষ! বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লাভের গুড় ঘরে তুলতে পারবে পাকিস্তান?
Bangladesh-Pakistan: যার নিজের খাওয়ার পয়সা নেই, প্রকাশ্যেই দেউলিয়া ঘোষণা করেছে, যে তিনবার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রতিবারই নাস্তানাবুদ হয়েছে সেই পাকিস্তান এখন হাওয়া দিচ্ছে বাংলাদেশকে! আর তিনটের যুদ্ধের মধ্যে একাত্তরের যুদ্ধ, ভারত যদি বাংলাদেশের পাশে না দাঁড়াত, তাহলে কী হত!
কলকাতা: পাকিস্তান যদি জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হয়, তাহলে এখন যা পরিস্থিতি তাদের শাখা বাংলাদেশ বললে এতটুকু ভুল হয় না! এমনটাই মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের বড় অংশের। কূটনৈতিক লড়াইয়ে বারবার ধাক্কা খাওয়া পাকিস্তান পিছনের দরজা ধরতে চাইছে। সেই দরজার নাম বাংলাদেশ। চরম অকৃতজ্ঞ বাংলাদেশ আবার সেই পাকিস্তানের মন্ত্র পেয়ে নিজেকে বিরাট বুদ্ধিমান ভাবতে শুরু করেছে। ভারতকে বিরক্ত করতে বাংলাদেশকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ, অস্ত্র দিয়ে অকাতরে সাহায্য করছে পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত নষ্টের গোড়া সেই আইএসআই। তার ফলে এখন বাংলাদেশের উর্বর মাটিতে কট্টরপন্থার চাষ! পাক-মদতে বাংলাদেশে এখন আল কায়েদার গ্রাস! এই পরিস্থিতিতে জেএমবির ছত্রছায়ায় হু হু করে বাড়ছে জঙ্গি! সর্বনাশের বাংলাদেশে সঙ্গী এখন পাকিস্তান! ওপার থেকে হুমকি আসছে প্রতি মুহূর্তে, এপার থেকে মুখের উপর বলে দেওয়া হচ্ছে প্রতিরোধ হবে।
সোজা কথায়, যার নিজের খাওয়ার পয়সা নেই, প্রকাশ্যেই দেউলিয়া ঘোষণা করেছে, যে তিনবার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রতিবারই নাস্তানাবুদ হয়েছে সেই পাকিস্তান এখন হাওয়া দিচ্ছে বাংলাদেশকে! আর তিনটের যুদ্ধের মধ্যে একাত্তরের যুদ্ধ, ভারত যদি বাংলাদেশের পাশে না দাঁড়াত, তাহলে কী হত তা অনেকেই অনুমান করতে পারেন! বাংলাদেশকে উস্কে দিয়ে এক পাক কট্টরপন্থী নেতা বলছে, পাকিস্তানের যত পরমাণু বোমা আছে তা নিজের ভেবে নিতে পারে বাংলাদেশ। সেই গ্যাস বেলুনে চেপে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা যা মনে আসছে বলে যাচ্ছে! বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার এখন যারা চালাচ্ছেন, তাদের বড় অংশেরই পরিচয় ভারতবিরোধী। তারা এখন জঙ্গি রাষ্ট্রের সমর্থক হয়ে উঠেছে। আর তাদের ইন্ধন দিচ্ছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। পুরোদমে ময়দানে নেমে পড়েছে ISI. সূত্রের খবর, বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তিকে পাশে নিয়ে তৈরি হচ্ছে ষড়যন্ত্রের জাল।
যত নষ্টের গোড়া ISI
এই খবরটিও পড়ুন
সূত্রের খবর, সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের উপর হামলার ছক কষা হয়েছে। ৫০ জন জঙ্গির টিম তৈরি হরকত-উল-জিহাদের। বাংলাদেশের জেল থেকে পলাতক বন্দিদের নিয়ে তৈরি হয়েছে হামলাকারী দল। প্রত্যক্ষ মদত এবং সাহায্য পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর। এও জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান থেকে অস্ত্র, অর্থ সাহায্য ও প্রশিক্ষণ পেয়েছে জঙ্গিরা। ষড়যন্ত্রে যুক্ত কট্টরপন্থী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামি। আসছে আরও ভয়াবহ তথ্যও। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ পরামর্শদাতাও যুক্ত ষড়যন্ত্রে। সোজা কথায়, ভারত-বাংলাদেশে অস্থিরতার আবহে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার ফন্দি আঁটা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রত্যক্ষ সাহায্য এবং যাঁর হাত ধরে স্বাধীনতার সূর্য উঠেছিল বাংলাদেশে সেই বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে হত্যার পিছনেও তো উঠে এসেছিল ISI-এর কথা। এখন পরিস্থিতি যা, তাতে দেখা যাচ্ছে সেই পাক গুপ্তচর সংস্থাই এখন বাংলাদেশের কার্যত নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে। যে পাকিস্তান তাদের স্বাধীনতার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই দেশের জন্য এখন দরদ উথলে পড়ছে বাংলাদেশের। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর কয়েকটা ঘটনা বলি তাহলে বুঝতে পারবেন দেউলিয়া পাকিস্তান নিয়ে গদগদ হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ! অন্তর্বর্তী সরকারের একটার পর একটা পদক্ষেপ তো সেই কথাই বলছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
গণহত্যার নায়ক এখন বন্ধু!
করাচি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সরাসরি কার্গো জাহাজ চলাচলে অনুমতি এসে গিয়েছে। একইসঙ্গে, ৫ বছর পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইটও চালু হয়েছে। বাংলাদেশে পালাবদলের পর থেকে পাক গোয়েন্দা সংস্থা অর্থ থেকে শুরু করে লজিস্টিক সাপোর্টে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।