Partha Chatterjee-Arpita Mukherjee: ‘অপা’ কাণ্ডে ফের অভিযানে ইডি, পণ্ডিতিয়া রোডের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি

Partha Chatterjee-Arpita Mukherjee: যদিও ওই ফ্ল্যাটের আসল কে মালিক, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ জানা যাচ্ছে, ওই ফ্ল্যাটটি পার্থ-অর্পিতার নামে নেই। ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নামে রয়েছে ফ্ল্যাটটি।

Partha Chatterjee-Arpita Mukherjee: 'অপা' কাণ্ডে ফের অভিযানে ইডি, পণ্ডিতিয়া রোডের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি
পণ্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাটে তল্লাশি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 1:39 PM

কলকাতা: ‘অপা’কাণ্ডে ফের ইডি-র অভিযান। বৃহস্পতিবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে রবীন্দ্র সরোবর থানাতে যান ইডি আধিকারিকরা। তারপর সেখান থেকে পণ্ডিতিয়া রোডের একটি অভিজাত আবাসনে যান ইডি আধিকারিকরা। বেলা সওয়া বারোটা নাগাদ ইডি আধিকারিকরা ওই আবাসনে পৌঁছন। অভিজাত আবাসনের ব্লক সিক্সের পাঁচ তলার ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।

আট জন ইডি আধিকারিক এই অভিযানে আসেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা আধিকারিকরাও রয়েছেন। কিন্তু ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ থাকায় ভিতরে ঢুকতে পারেননি ইডি আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ ইডি আধিকারিকরা অপেক্ষা করেন। তারপর ডাকা হয় চাবিওয়ালাকে। এরপর চাবিওয়ালাকে সঙ্গে নিয়েই ফ্ল্যাটে ঢোকেন ইডি কর্তারা।

যদিও ওই ফ্ল্যাটের আসল কে মালিক, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ জানা যাচ্ছে, ওই ফ্ল্যাটটি পার্থ-অর্পিতার নামে নেই। ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নামে রয়েছে ফ্ল্যাটটি। কিন্তু সূত্রের খবর, এই ফ্ল্যাটটির সঙ্গে পার্থ-অর্পিতার একটি যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যেহেতু পার্থ অর্পিতার বেনামেও একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তাই এই ফ্ল্যাটটির মালিকানা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

জানা যাচ্ছে, এই ফ্ল্যাটটি কয়েকবছর আগে হস্তান্তরিত হয়। ঝুনঝুনওয়ালার পরিচয় নিয়েও সন্ধিহান তদন্তকারীরা। আইনি সমস্যা থাকার কারণে গত বারের অভিযানে ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারেননি আধিকারিকরা। যেহেতু এই ফ্ল্যাটি রবীন্দ্র সরোবর থানার অধীনস্থ, তাই ইডি আধিকারিকরাও অভিযানের আগে স্থানীয় থানাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন।

পার্থ অর্পিতাকে মঙ্গলবারই ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করেছেন তদন্তকারীরা। সেখানে নয়া তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছেন তাঁরা। আদালতে তাঁরা জানিয়েছেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩১টি জীবনবিমায় নমিনি হিসাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। দু’জনের মধ্যে কতটা ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ রয়েছে, তা বোঝাতেই বিশেষ আদালতে এই তথ্য পেশ করেন ইডি-র তদন্তকারীরা। ইডির যুক্তি, দু’জনের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ’ যোগাযোগ না থাকলে এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। গোটা বিষয়টি আদালতে পেশ করেছেন তাঁরা।