Partha Chatterjee: আমার কোনও টাকা নেই… সময় এলেই বুঝবেন: পার্থ
Partha Chatterjee: গত শুক্রবার অর্পিতা-পার্থকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সাংবাদিকরা একেবারে অর্পিতার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন।
কলকাতা: আজ ফের পার্থ-অর্পিতার স্বাস্থ্য় পরীক্ষা। জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করানো হচ্ছে। সকাল ১১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডি আধিকারিকদের গাড়ি বার হয়। একেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সিজিও কমপ্লেক্স টু জোকা ইএসআই- কার্যত গ্রিন করিডর করে দেওয়া হয় গোটা রাস্তা। একটি সিগন্যালে দাঁড়ায় না গাড়ি। প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি, তারপরের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে, তারপর কেন্দ্রীয় বাহিনী, তারপরের গাড়িতে ফের রয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। শেষে আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি।
গত শুক্রবার অর্পিতা-পার্থকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সাংবাদিকরা একেবারে অর্পিতার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। কাচ তোলা ছিল গাড়ির। কিন্তু তার মাঝেও সাংবাদিকরা একের পর এক চোখা প্রশ্ন ছুড়েছিলেন অর্পিতার দিকে।
গাড়িতে বসে অর্পিতা কোনও প্রশ্নেরই উত্তর সেভাবে দিতে পারেননি। হাসপাতালে গাড়ি পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। কাঁদতে কাঁদতে একসময়ে গাড়ি থেকে পড়ে যান। তাঁর পায়েও চোট লাগে। হুইলচেয়ারে বসিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ঢোকানোর সময়ে দৃশ্যত পা তুলে ছিলেন তিনি। হাসপাতালে ঢোকার সময়েই পার্থ চট্টোপাধ্যায় করেছিলেন বিস্ফোরক দাবি। পার্থ বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের শিকার…’। গ্রেফতারির পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে দুটি শব্দ প্রথম সপক্ষে বলেন তিনি।
দ্বিতীয় দিন, রবিবার। হাসপাতাল-‘যাত্রা’য় ছিল কড়া নিরাপত্তা। তারই মধ্যে আবারও বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিনও হুইলচেয়ারে বসিয়ে হাসপাতালে ঢোকানো হয় তাঁকে। নিরাপত্তার বেষ্টনী টপকে প্রশ্ন ছোড়েন সাংবাদিকরাও। ‘ পার্থবাবু আপনি কার ষড়যন্ত্রের শিকার?’ এদিন মৌন থাকেননি প্রাক্তন মন্ত্রীমশাই। পার্থর প্রত্যুত্তর. ‘সময় আসলেই বুঝবেন…’ আবারও বিস্ফোরক পার্থ। আরও বলেন, ‘আমার কোনও টাকা নেই… ‘ ফের সাংবাদিকরা আবারও তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার শরীর কেমন রয়েছে?’ বুকে হাত রেখে তাঁর ইঙ্গিতবহ উত্তর, ‘ভাল নেই’।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দ্রুত হাসপাতালের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তারপর গাড়ি থেকে নামানো হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। পাশেই হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু এদিন হেঁটেই হাসপাতালে ঢোকেন তিনি। তবে দৃশ্যত তাঁকে বিধ্বস্তই দেখাচ্ছিল।