Partha Chatterjee: ‘তৃণমূলের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না’, আদালত থেকে বেরিয়ে বললেন ‘আত্মবিশ্বাসী’ পার্থ
Partha Chatterjee: বারবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বর মাসকে উল্লেখ করে রাজনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কলকাতা: জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ। নিয়োগ মামলায় সোমবার ফের আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। হাজিরা দেবেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবিরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহারা। এজলাসে দুই মিডিলম্যানও। ইতিমধ্যেই হাজিরা হয়ে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আদালত থেকে বেরনোর সময় শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া ডেডলাইনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘তৃণমূলের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না।’
বারবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বর মাসকে উল্লেখ করে রাজনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেক্ষেত্রে তিনি তিনটি দিনের কথা উল্লেখ করেছেন। এরমধ্যে প্রথম দিনটি হল ১২ ডিসেম্বর। অর্থাৎ আজ। এ দিনই আবার আদালতে হাজিরা দেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জেল থেকে কোর্ট লক-আপে আনার সময় মুখ খোলেন পার্থ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া ডেডলাইন প্রসঙ্গ টেনে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না।’ প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষিত তিন ‘বড়দিন’-এর একদিন আজ, ১২ ডিসেম্বর। শুভেন্দু বলেছেন, “১২-১৪-২১ তিনটি দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।”
উল্লেখ্য, ১৫০ দিনের উপর জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুধু পার্থ নয়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদেরও জেল-জীবন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। জামিন না দিয়ে, আর কত দিন তাঁদের জেলে পাঠানো যায়? শিক্ষক নিয়োগে যদি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হয়েই থাকে, সে ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া যাবে না, তা কি আইনের কোথাও বলা আছে? জামিন নিয়ে ইতিমধ্যে এ প্রশ্ন যিনি তুলেছেন, তিনি পার্থ-সুূবীরেশদের আইনজীবী নন, খোদ বিচারক। এই অবস্থায় আজ ফের একবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় পার্থদের।