‘টাটারা আসুন’, ফের ‘আকুতি’ পার্থর, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর দিল্লি সফর নিয়েও

ফের একবার ভারী শিল্প তৈরির জন্য টাটাকে এ রাজ্যে আসার আহ্বান জানালেন পার্থবাবু।

'টাটারা আসুন', ফের 'আকুতি' পার্থর, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর দিল্লি সফর নিয়েও
চিত্রগ্রাহক- সঞ্জিত দত্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2021 | 8:46 PM

কলকাতা: বছর ১৩ আগে টাটাকে ‘টাটা’ করে এখন সেই টাটাকেই আকুলভাবে খুঁজছে তৃণমূল সরকার। দিনকয়েক আগেই সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গে বিলগ্নিকরণের জন্য টাটাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার ভারী শিল্প তৈরির জন্য টাটাকে এ রাজ্যে আসার আহ্বান জানালেন পার্থবাবু। এমনকী তাঁর আরও দাবি, “তৃণমূল কোনওদিন টাটার বিরোধিতাই করেনি।”

কর্মসংস্থান ও ভারী শিল্পের প্রসার যে সমান্তরাল রেখাপথ ধরে চলে, শাসকের আসনে ১০ বছর কাটিয়ে দেওয়া পর তা বুঝে গিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। যে কারণে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চাকরির বাজার তৈরির উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়ার কথা বলতে শোনা গিয়েছে শাসকদলের সুপ্রিমোকেও। কিন্তু রাজ্যে ভারী শিল্পের অভাব ঘোচেনি এখনও। তাই গত কয়েক বছরে শিল্পক্ষেত্রে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা এখন ভরতে মরিয়া শাসক শিবির। আর সেই শূন্যস্থান ভরতে টাটাকেই পাখির চোখ করেছে রাজ্য সরকার। সেই টাটা, যাকে টানা আন্দোলনের পর সিঙ্গুর থেকে বিতাড়িত করেই এ রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল শাসকদল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, রাজনীতিতে বিরোধিতা করা অনেক সোজা। কিন্তু তার তুলনায় অনেকাংশে কঠিন শাসকের চেয়ারে থাকা। গত ১০ বছরে সেই বাস্তবটা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছে তৃণমূল। যার দরুন এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলতে যাচ্ছে, “টাটারা আসুন। এ রাজ্যে টাটা বিনিয়োগ করলে আমরা স্বাগত জানাব। আমরা কোনওদিন টাটার বিরোধিতা করিনি। বহু ফসলি জমির স্থান নির্বাচন নিয়েই বাম সরকারের সঙ্গে আমাদের মতানৈক্য ছিল। টাটাদের সঙ্গে নয়। প্রস্তাব থাকলে স্বাগত জানাব।”

এর পাশাপাশি এ দিন শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফর নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, বিরোধী দলনেতাকে ‘ধমক’ দেওয়ার জন্যই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ‘ধমক’ কেন? কুণাল বলছেন, “উনি যেভাবে বলেছেন যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সব কল রেকর্ড রয়েছে, এটা আসলে কেন্দ্রের পেগাসাস কাণ্ডকেই স্বীকৃতি দিয়েছে।” এই কারণেই শুভেন্দুর উপর দিল্লির নেতারা ‘রুষ্ট’ বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। যদিও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের এই নিয়ে পালটা দাবি, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার মধ্যে বৈঠক নিয়ে কুণাল যা বলছেন, তাতে তো মনে হচ্ছে পেগাসাসের থেকেও মারাত্মক সফটওয়ার ওঁর কাছে আছে।”  আরও পড়ুন: হেরেও লড়তে ভোলেন না পটনার শ্যামনন্দন, রাজ্যসভার সাংসদ হতে ছুটে এলেন বঙ্গ বিধানসভায়