‘কেন চিকিৎসা হল না আগে উত্তর চাই, তারপর বডি নেব’
যদিও এই ঘটনা নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি হাসপাতাল সুপার।
কলকাতা: হাসপাতালের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল এসএসকেএম। রোগীর মৃতদেহ নিতে অস্বীকার রোগীর পরিবারের। তাদের অভিযোগ, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে ওই ব্যক্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করাতে পেরেছিল তারা। কিন্তু তারপর যথাযথ চিকিৎসা করা হয়নি। হাড় ভাঙা রোগীকে ফেলে রাখা হয়েছিল মেডিসিন বিভাগে।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির বাসিন্দা রতনচন্দ্র শীল। পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন তিনি। গত ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে এক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গত ২৫ জানুয়ারি তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়। ২৬ হাজার টাকা খরচ করে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে ওই ব্যক্তিকে কলকাতায় আনে পরিবার। এরপরই শুরু হয় নাকাল হওয়া।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সভার আগে বারুইপুরে উত্তেজনা, বিজেপির পতাকা ‘ফেলা হল’ খালে
দেড় দিন ভোগান্তির পর গত ২৭ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয় তাঁকে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হলেও এতগুলো দিন বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন রতন। তাঁর হাড় ভেঙে গিয়েছিল, মাথায় গভীর ক্ষত ছিল। অথচ কোনও চিকিৎসাই হয়নি, দাবি রোগীর আত্মীয়দের। অভিযোগ, এক সপ্তাহ বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকার পর মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন আত্মীয়রা। সুপারের কাছে বিষয়টি জানান। কেন এতদিন ধরে গুরুতর এক রোগীকে ফেলে রাখা হল তার জবাব চান তাঁরা।