Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Patuli TMC Chaos: ‘ওর টাকা খাওয়া আটকেছি…’, চেয়ারের লড়াইয়ে ‘গোপন তথ্য’ ফাঁস তৃণমূলের

Patuli TMC Chaos: কাউন্সিলর স্বরাজবাবু বলেন, এই কার্যালয় তাঁর। বিধায়ক দেবব্রতবাবু যখন আসেন তখন চেয়ার ছেড়ে দেন। বাকি দিনগুলিতে তিনিই বসেন। অভিযোগ, এরপরও নাকি বিধায়কের অনুগামী ও ১১ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তীর অনুগামীরা রীতিমতো অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন তাঁকে।

Patuli TMC Chaos: 'ওর টাকা খাওয়া আটকেছি...', চেয়ারের লড়াইয়ে 'গোপন তথ্য' ফাঁস তৃণমূলের
তারকেশ্বর চক্রবর্তী, ১১ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2024 | 12:30 PM

কলকাতা: মঙ্গলবার রাত্রি থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাটুলি। সেখানে তৃণমূল কাউন্সিলর ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডলকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার ও ১১ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। কান ফাটিয়ে দেওয়া হয় কাউন্সিলরের। কিন্তু কেন এই ঝামেলা? তারকেশ্বরবাবু দাবি করেছেন বেআইনি বিল্ডিং থেকে নাকি কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডল টাকা তোলেন। সেটা আটকে দিতেই এখন এমন অভিযোগ করছেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কাউন্সিলর।

১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ওর কিছু বেআইনি বিল্ডিংয়ে পয়সা খাওয়া আমি আটকে দিয়েছি বোরো চেয়ারম্যান হিসাবে। বহুদিন ধরে আমার এবং মলয়দার নামে ও গালাগাল নারা রকম কটূক্তি করেছে। যত বেআইনি বাড়ি আমরা আটকেছি।” পাল্টা স্বরাজ মণ্ডল বলেন, “এই সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে থাকলে প্রমাণ করুক। যদিও অপরাধী হই যা শাস্তি হওয়ার হবে। আমি পেশায় শিক্ষক। আমায় রাজনীতি করে ভাতের চাল কিনতে হয় না। আমি নিজে বাজে কাজ করি না। বাজে কাজে মদত দিই না। আজ তৃণমূলের যে দুষ্কৃতীরা আমায় মেরেছে তাঁদের নিয়ে খোঁজ নিলেই দেখা যাবে অপকর্মের সঙ্গে তারা জড়িত।”

কী নিয়ে ঝামেলা?

জানা গিয়েছে, পাটুলির মেলার মাঠে এলাকার কাউন্সির স্বরাজ মণ্ডলের কার্যলয় রয়েছে। সেখানে সপ্তাহে একদিন বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার এসে বসেন। অভিযোগ, মঙ্গলবার ওই কার্যালয়ে কাউন্সিলর বসতে গেলে বিধায়কের অনুগামীরা তাঁকে বলেন চেয়ারে বসা চলবে না। এই নিয়েই শুরু হয় বচসা। কাউন্সিলর স্বরাজবাবু বলেন, এই কার্যালয় তাঁর। বিধায়ক দেবব্রতবাবু যখন আসেন তখন চেয়ার ছেড়ে দেন। বাকি দিনগুলিতে তিনিই বসেন। অভিযোগ, এরপরও নাকি বিধায়কের অনুগামী ও ১১ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তীর অনুগামীরা রীতিমতো অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন তাঁকে। এরপরই কাউন্সিলর অনুগামী ও বিধায়ক অনুগামীর মধ্যে বচসা শুরু হয়।

অভিযোগ, কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডলের মুখে ঘুষি মারা হয়। শুধু তাই নয়, আঘাত করে শরীরের একাধিক জায়গায়। এই ঘটনায় কান ফেটে যায় বলেও অভিযোগ। আক্রান্ত স্বরাজবাবু বলেন, “তারকেশ্বর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকজন ডেকে আমায় মেরেছে। ওদের দাবি এটা বিধায়কের চেয়ার। আমাকে আমার কার্যালয়েই মেরেছে।” বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বলেন,”এটা অনভিপ্রেত। দলীয়ভাবে বিষয়টি দেখব।”