Kestopur Student Death: বসিরহাটে দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, রিপোর্ট তলব নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের
Kestopur Crime: অভিজিৎ বসু, শামিম আলি, সাহিল মোল্লা এবং দীপেন্দ্র দাস নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরও এক অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
কলকাতা : কেষ্টপুর থেকে পনেরো দিন ধরে নিখোঁজ ছিল দুই ছাত্র। শেষে বসিরহাট থেকে অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর নামে ওই দুই নিখোঁজ ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিজিৎ বসু, শামিম আলি, সাহিল মোল্লা এবং দীপেন্দ্র দাস নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরও এক অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে কেষ্টপুরের দুই ছাত্রের বসিরহাটে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকারও। উত্তর চব্বিশ পরগনার পুলিশ সুপার এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের কাছে ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যে নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। কী ঘটনা ঘটেছিল, পুলিশ কতটা সক্রিয় ছিল, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। শশী পাঁজা আরও বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু ওই দুই ছাত্র তো আর ফিরে আসবে না। তাই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে যাবতীয় তদন্তের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।”
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ডিডি বিশ্বজিৎ ঘোষ এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, “গতকাল আমরা একটি খবর পাই। গোপন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিজিৎ বসু নামে একজনকে গ্রেফতার করি।” এরপর মঙ্গলবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনার পর পলাতক অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত মানুষ। অভিষেক নস্কর ও অতনু দে-র পরিবারের অভিযোগ, ওই দুই ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং তারপর মুক্তিপণও দাবি করা হয়েছিল। ২২ অগস্ট বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তারা। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আর বাড়ি ফেরেনি তারা। এরপর ওই ছাত্রদের বাড়ির লোকেরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপর এদিন বসিরহাট থেকে উদ্ধার হয় ওই দুই ছাত্রের দেহ।