Property Case: ‘রাজনীতি মাঠে হয়, কোর্টে নয়’, ১৯ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় ‘সুপ্রিম’ স্থগিতাদেশে প্রতিক্রিয়া শমীকের

Property Case: শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "রাজনীতি মাঠে হয়, কোর্টে নয়। সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ দিয়েছে তো কি হয়েছে? খারিজ তো করেনি। শুনানি তো চলবে। দেখা যাক কী হয়।"

Property Case: 'রাজনীতি মাঠে হয়, কোর্টে নয়', ১৯ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় 'সুপ্রিম' স্থগিতাদেশে প্রতিক্রিয়া শমীকের
শমীক ভট্টাচার্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 8:28 PM

কলকাতা : সম্প্রতি ১৯ জন রাজনৈতিক নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এবার সেই ১৯ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে খানিক স্বস্তি মিলেছে রাজ্যের শাসক দলের। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় এই বিষয়ে বলেন, “সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা সকলের ক্ষেত্রে কাজ করে না। দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় যাঁরা কেবল জনপ্রতিনিধি তাঁদের উপর কার্যকর হয়। সুতরাং, সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে যে কারও বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে, এমনটা নয়। সুপ্রিম কোর্ট যথাযথ রায় দিয়েছে।”

যদিও সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পরও তৃণমূল শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজনীতি মাঠে হয়, কোর্টে নয়। সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ দিয়েছে তো কি হয়েছে? খারিজ তো করেনি। শুনানি তো চলবে। দেখা যাক কী হয়।”  বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের অবশ্য বক্তব্য, কোর্ট যা রায় দিয়েছে , তা মানতে হবে । উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপিকে বার বার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টে ওই ১৯ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন বিপ্লব চৌধুরী। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের বিষয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গেও। তিনি অবশ্য প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, “আমরা তো এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমরা পুরোটাই অন্ধকারে। আমরা কোনও নোটিসও পাইনি। ওখানে সুপ্রিম কোর্টে কী হয়েছে, আমাদের কাছে কোনও খবরই নেই।” তবে সেই সঙ্গে বিপ্লব বাবুর আরও সংযোজন, “যদি সুপ্রিম কোর্টে যদি স্থগিতাদেশ হয়ে থাকে, তাহলেও আমাদের লড়াই তো বন্ধ হবে না। লড়াই চলবে। হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি এখন পশ্চিমবঙ্গে একটি রোগ। এই রোগকে বন্ধ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট ইডিকে ওই মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শাসক দলের বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার ১৯ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে।