DYFI Brigade Rally: ‘মীনাক্ষী বলবেন চোর, মীনাক্ষীর জ্যাঠা খাবেন বিরিয়ানি!’
বামেদের ‘ইনসাফ’ ব্রিগেডে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ভিড় করেছেন বামকর্মী-সমর্থকরা। এই ব্রিগেড ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল খোঁচা দিতে ছাড়ল না সিপিএমকে। শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার থেকে কুণাল ঘোষ। বিজেপি, তৃণমূল দুই পক্ষই বিঁধেছে বামেদের।
কলকাতা: রাজ্য জুড়ে ‘ইনসাফ যাত্রা’র পর ৭ জানুয়ারি, রবিবার ব্রিগেডে সমাবেশ করছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI)। বামেদের ‘ইনসাফ’ ব্রিগেডে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ভিড় করেছেন বামকর্মী-সমর্থকরা। এই ব্রিগেড ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল খোঁচা দিতে ছাড়ল না সিপিএমকে। শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার থেকে কুণাল ঘোষ। বিজেপি, তৃণমূল দুই পক্ষই বিঁধেছে বামেদের। ২১ সালে ব্রিগেডের পর বিধানসভায় সিপিএমের শূন্য আসন নিয়ে খোঁচা দিয়েছে দুই পক্ষই। তবে বামেদের কাছে এই ব্রিগেড ‘নীতিহীনতার বিরুদ্ধে লড়াই’।
ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “বামপন্থীরা নিজেদের লাইন থেকে অনেক আগেই সরে গিয়েছে। মীনাক্ষী বলবে, তৃণমূল চোর। চোর ধরো জেল ভরো। মীনাক্ষীর জ্যাঠা সীতারাম ইয়েচুরি পটনা, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, দিল্লিতে একসঙ্গে বিরিয়ানি খাবে। লোক দেখছে। দিল্লিতে সাধু আর পশ্চিমবঙ্গে চোর। এই দুরকম কথা বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। লোক বিজেপির জন্য অপেক্ষা করবে। ৩৪ বছর বাংলার লোক সিপিএমকে দেখেছে। তাই বদলে তৃণমূলকে এনেছিল। তৃণমূলকে দেখে নিয়েছে। তৃণমূলও যাওয়ার পথে।”
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “বিধানসভা ভোটের আগেও বামফ্রন্ট্রের ব্রিগেড হয়েছিল। কিন্তু একটা আসনও জোটেনি। নওশাদ কোনও রকমে কাপড় বাঁচিয়েছিল। তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে এরা চলবে কেন্দ্রে। আর এখানে এসে মারামারি করবে। এটা তো চলতে পারে না। এখানে কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি আর গোটা দেশে মস্তি। এই মডেল বাংলার মানুষ নেবে না।” বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “আগেও ব্রিগেড ভরিয়েছিলেন বামপন্থীরা। কিন্তু কিন্তু একটা সিটও জিততে পারেনি। বামপন্থীদের ব্রিগেডে একটা ঐতিহ্য আছে বহু বছর ধরে। যত দিন পার্টি আছে, এটার চর্চা ওনারা করবেন।”
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “২১ সালেও তো ব্রিগেড করেছিল। তার পরও বিধানসভায় শূন্য পেয়েছে। বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে সিপিএম। যাঁরা চক্ষুলজ্জায় কিছু বলতে পারেন না পার্টিকে, তাঁরা ব্রিগেডে যাবে। সিপিএমের ব্রিগেড নতুন নয়। কিন্তু সিপিএমের ব্রিগেড মানেই সিপিএমকে ভোট নয়।”
ব্রিগেডে এসে ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত বলেছেন, “শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে শিশির অধিকারী আছেন। তিনি কোন দলে বোঝা যায় না। অন্যদিকে আমাদের ইনসাফ যাত্রায় হেঁটেছেন সাল্কি সোরেনের মা চিন্তামণি সোরেন। সেই ২০০৮-০৯ এর শহিদের মা, এখনও ২৩ সালে দাঁড়িয়ে লড়াইটা করে যাচ্ছেন। এদের নীতিহীনতার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমাদের এই ব্রিগেড।”