Presidency University: টিভি-৯ বাংলার খবরের জের, চাপের মুখে হিন্দু হোস্টেল মেরামতির কাজ শুরু করল প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ
Presidency University: হোস্টেলের স্বাস্থ্যোদ্ধারের দাবিতে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভায় মেল করেছিলেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। তাতেই চাপ বাড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের উপর।
কলকাতা: হিন্দু হোস্টেলের (Hindu Hostel) দুরাবস্থা নিয়ে বিগত কয়েক মাসে লাগাতার অস্বস্তিতে পড়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ( Presidency University) কর্তৃপক্ষের। কয়েক মাস আগেই ভাঙাচোরা হোস্টেলের মেরামতির দাবি জোরদার আন্দোলনে নেমেছিল প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, তারপরেও হোস্টেলের স্বাস্থ্যোদ্ধারে বিশেষ নজর দেয়নি কর্তৃপক্ষ। যা নিয়েই পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়তে থাকে চাপা ক্ষোভ। গত রবিবার ভেঙে পড়েছিল হিন্দু হোস্টেলের ছাদের চাঙর। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা হোস্টেল চত্বরেই। অভিযোগ, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হোস্টেলের একাধিক জায়গায় এই চাঙর ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটছিল। সম্প্রতি, প্রেসিডেন্সির এই প্রাচীন হোস্টলের দুরাবস্থা নিয়ে লাগাতার খবর করে টিভি-৯ বাংলা (TV-9 Bangla)। আর তাতেই মিলল সুফল। শুরু হয়ে গেল মেরামতির কাজ।
এদিকে পড়ুয়াদের দাবি, হোস্টেলের ড্রেনের জমা জলে আবর্জনা মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল গোটা হোস্টেল চত্বরেই। বাড়ছিল মশার উপদ্রব। এমনকী, একাধিক ঘরে বিদ্যুতের অভাবে আলো, পাখার সমস্যাও বেড়েছিল। কিছু ঘরে বিদ্যুৎ থাকলেও ঘুরছিল না পাখা। এমনকী এই বিষয়ে একাধিকবার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুফল। মেল করা হয়েছিল ডিন অব স্টুডেন্টসকেও। অবশেষে প্রতিকার চাইতে কলকাতা পুরসভার দ্বারস্থ হয় প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। ই-মেল করা হয় পৌরসভার অফিসিয়াল মেল আইডিতে। মেল পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুরসভার আধিকারিকেরা। চাপ বাড়ে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের উপর।
বুধবারই প্রেসিডেন্সির হিন্দু হোস্টেল পরিদর্শনে যান কলকাতা পৌরসভার আধিকারিকেরা। সেই সঙ্গে কথা বলেন হোস্টেলের পর্যবেক্ষণে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গেও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কোভিডকালে দীর্ঘদিন হোস্টেল বন্ধ থাকায় দেখভালের অভাবে ভেঙে পড়েছিল সামগ্রিক পরিকাঠামো। কিন্তু, করোনা ফাঁড়া কাটতে ফের প্রেসিডেন্সির ক্যাম্পাস পুরনো ছন্দে ফিরলেও কেন হোস্টেলের স্বাস্থ্যোদ্ধারে মন দিচ্ছিল না কর্তৃপক্ষ? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল শিক্ষা মহলের অন্দরে। অবশেষে কলকাতার পৌরসভার হস্তক্ষেপে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে স্থিতাবস্থা। তাতেই খানিকটা হলেও স্বস্তিতে হিন্দু হোস্টেলের আবাসিকেরা।