Rajarhat: ‘বিধায়ক এর মধ্যে ঢুকলেন কেন?’, বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের হুঁশিয়ারি সায়ন্তনের

BJP: অভিযোগ, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজারহাট থানার চাঁদপুর ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় হুল পাত্রের মৃত্যু হয় রাজারহাটের পুলিশ লকআপে।

Rajarhat: 'বিধায়ক এর মধ্যে ঢুকলেন কেন?', বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের হুঁশিয়ারি সায়ন্তনের
গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজারহাটের বিজেপি কর্মী সঞ্জয় হুল পাত্রের মৃত্যু হয়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2021 | 1:15 PM

কলকাতা: পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাবে বিজেপি। প্রয়োজনে আদালতেরও দ্বারস্থ হবে। রবিবার রাজারহাটের নিহত দলীয় কর্মী সঞ্জয় হুল পাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। এদিন সঞ্জয়ের চাঁদপুর ঘোষপাড়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন সায়ন্তন। সেখানেই বলেন, “প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তেরও দাবি তুলব আমরা।”

অভিযোগ, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজারহাট থানার চাঁদপুর ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় হুল পাত্রের মৃত্যু হয় রাজারহাটের পুলিশ লকআপে। এই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজারহাট এলাকা। বিজেপি অভিযোগ তোলে, দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে সঞ্জয়কে বিনা দোষে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপরই তাঁকে পুলিশি লকআপে পিটিয়ে মারা হয়। এই ঘটনায় রাজারহাট থানার সামনেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সহ এলাকার সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই বিক্ষোভ ওঠে।

সেই সঞ্জয় হুলের পরিবারের সঙ্গে রবিবার কথা বলেন সায়ন্তন বসু। এরপর সংবাদমাধ্যমকে সায়ন্তন জানান, “একজনকে পিটিয়ে পুলিশ মেরে দেবে এটা তো হতে পারে না। এখানে কে বিজেপি, কে তৃণমূল, কে কংগ্রেস সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা দু’টো। পুলিশ কাস্টডিতে মারা গিয়েছে কি যায়নি। দ্বিতীয়ত, বিধায়ক কেন সেটেলমেন্টের কথা বলবেন। তার মানে নিশ্চয়ই কিছু গোলমাল আছে। এখনও এফআইআরটা কেন হল না। এই তদন্তটাই হোক আগে।”

এই তদন্ত কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থাকে দিয়ে করানো হোক, দাবি তুলেছেন সায়ন্তন বসু। সায়ন্তনের সংযোজন, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এর তদন্ত করুক। নিয়ম মেনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আসুক। এ নিয়ে আজই আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাচ্ছি। একজন নির্বাচনের সময় বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। ও যে খুব সক্রিয় ভাবে বিজেপি করত এমনও নয়। দুয়ারে সরকারে পুলিশের সঙ্গে বচসা, তা থেকেই ওকে তুলে নিয়ে গেল। পুলিশ নাকি মারতে মারতে ওকে নিয়ে গিয়েছে। পরের দিনই থানায় মারাও যায়।”

সায়ন্তনের অভিযোগ, এলাকার বিধায়কের সঙ্গে পরিবারের কোনও একটি বিষয়ে ‘সেটেলমেন্ট’ হয়েছে। পরিবার এফআইআর পর্যন্ত করতে পারেনি। পুলিশের কাছে একটাই প্রশ্ন, একজন পুলিশ হেফাজতে মারা গেলে সেখানে বিধায়কের কী ভূমিকা থাকতে পারে?

এ প্রসঙ্গে বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা সায়ন্তন বসুকে বুঝতে হবে যে আমি নিউটাউন বিধানসভার ভূমিপুত্র। কী করব কী করব না সেটা ওনার সঙ্গে পরামর্শ করে নিশ্চয়ই করব না। স্থানীয়রা আমাকে ডেকেছিলেন। পরিবারের লোকেরা বলেছিলেন। আমি বলেছি, যা অভিযোগ আছে জানান। কে আদালতে যাবে, আর কে সিবিআই চাইবে সেটা তার ব্যাপার। আমি বিধায়ক, আমার একটা কর্তব্য রয়েছে।”

কী ঘটেছিল 

সম্প্রতি রাজারহাট চাঁদপুরে দুয়ারে সরকারের শিবিরে ব্যাপক ভিড় হয়। রাজ্যের নয়া প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা নিতে হাজির হওয়া বিশাল সংখ্যক মানুষের ভিড় সামাল দিতে কার্যত ব্যর্থ হয় প্রশাসন। সেই ভিড়কে কেন্দ্র করে ঠেলাঠেলি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় রাজারহাট থানার পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় যুবক সঞ্জয়কে সেই লাইন থেকে মারধর করতে করতে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় তারা। এরপরই অভিযোগ, থানায় পুলিশের মারে অসুস্থ হলে সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়া রেকজোয়ানি ব্লক হাসপাতালে। কিন্তু সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। এর পর সঞ্জয়কে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: Icore Chitfund Scam: আইকোর মামলায় এবার মানস ভুঁইয়াকে তলব সিবিআইয়ের