‘জল্পনাতেও নেই, কল্পনাতেও নেই, দলের সঙ্গে কোনও দূরত্বও নেই’
মঙ্গলবার মমতার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সকলের নজরই ছিল তাঁর দিকে। জল্পনা জিইয়ে হাজির থাকেননি তিনি। তবে এদিন বিধানসভায় তাঁর উপস্থিতি খানিকটা হলেও দলের কাছে স্বস্তির। ফুল মেলার মঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশেই দেখা গেল তাঁকে।
কলকাতা: অবশেষে খানিক স্বস্তি তৃণমূলের অন্দরে। মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেখা না গেলেও বুধবার বিধানসভার ফুল মেলায় হাজির হলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, ব্যক্তিগত কারণে বৈঠকে থাকতে পারেননি। এ নিয়ে এত জল্পনা-কল্পনার কিছুই নেই।
আরও পড়ুন: বাংলায় ‘অবাধ, শান্তিপূর্ণ’ ভোট চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা
শুভেন্দু অধিকারী আক্ষরিক অর্থেই এখন তৃণমূলে ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’। তাঁকে নিয়ে আপাতত জল্পনার আর কোনও জায়গা নেই। কিন্তু রাজীবের ক্ষেত্রে তেমনটা হলফ করে বলতে পারছে না রাজনৈতিক মহল। কিছুদিন আগেও যেভাবে দলের বিরুদ্ধে তিনি ‘বেসুরো’ হয়েছিলেন, তাতে ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে কানাঘুঁষো চলতেই থাকছে। দিকে দিকে রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সমর্থনে যেভাবে পোস্টার পড়ছে, তাতে কোথাও যে কিছু ‘অস্বাভাবিক’ নয়, এমনটা দাবি তোলা সত্যিই কঠিন।
আরও পড়ুন: আসুন আমাদের সঙ্গে ধরনায় যোগ দিন, সিংঘু থেকে মমতাকে আহ্বান অন্নদাতাদের
যদিও এদিন রাজীব বলেন, “আমি কোনও জল্পনা, কল্পনাতে নেই। দলের সঙ্গেও আমার কোনও দূরত্বও নেই। গতকাল পারিবারিক সমস্যার কারণে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাইনি। আর সে বিষয়ে যেখানে জানানোর জানিয়েছি। আমি একজন বিধায়ক, মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয় আমাকে ডেকেছেন, আমি এসেছি।”
চলতি সপ্তাহেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে যান রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় তাঁদের ঐকান্তিক আলোচনা চলে। আলোচনা সেরে বেরোনোর সময় রাজীব বলেছিলেন, তিনি একজন দলীয় কর্মী। দলের নেতা ডেকেছেন, তিনিও এসেছেন। এ নিয়ে অতিরিক্ত উৎসাহ না দেখানোই ভাল। সে বৈঠক ঘিরে ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা ছিল, খুবই সাবধানী রাজীব। মেপে পা ফেলছেন। তাই সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাইছেন না।
কিন্তু তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু যখন দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন প্রথম যিনি তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর বক্তব্যগুলো রাজীবের কাছে মত প্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকার বলেই মনে হয়েছিল। এরইমধ্যে একাধিকবার দলের মহাসচিবের বাড়িতে বৈঠক জল্পনা আরও খানিকটা বাড়িয়ে তুলেছে। মঙ্গলবার মমতার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সকলের নজরই ছিল তাঁর দিকে। জল্পনা জিইয়ে হাজির থাকেননি তিনি। তবে এদিন বিধানসভায় তাঁর উপস্থিতি খানিকটা হলেও দলের কাছে স্বস্তির। ফুল মেলার মঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দেখা গেল তাঁকে।