Autopsy : মৃত সন্তান প্রসব, কী কারণে মৃত্যু? উত্তর খুঁজতে রাজ্যে অটোপসিতে বিরল প্রক্রিয়া
RG Kar: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক সোমনাথ দাসের তত্ত্বাবধানে আগামী সোমবার (১১ জুলাই) অটোপসি হবে মৃত সন্তানের।
কলকাতা : রাজ্যে অটোপসির (রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত) ক্ষেত্রে বিরল ঘটনা। পঞ্জাবের রূপনগর থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সন্তানসম্ভাবা রূপা বিশ্বাস ও তাঁর স্বামী নভনীত সিং। কলকাতায় একটি বাড়িতে রূপা কাজ করতেন। শনিবার নিউ আলিপুরের এক হাসপাতালে রূপা মৃত পুত্র সন্তান প্রসব করেন। এরপর রূপা যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেই বাড়ির কর্তা স্বপন চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মৃত পুত্র সন্তানের অটোপসি (Autopsy) করার সিদ্ধান্ত নেন নভনীত ও রূপা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital) ফরেন্সিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক সোমনাথ দাসের তত্ত্বাবধানে আগামী সোমবার (১১ জুলাই) অটোপসি হবে মৃত সন্তানের।
এই অটোপসি (রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত) রাজ্যের চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিরল। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি হচ্ছে গণদর্পণের সহায়তায়। গণদর্পণের পক্ষ থেকে শ্যামল চট্টোপাধ্যায় শিশুর মরদেহ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। কেন এই অটোপসি করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক সোমনাথ দাস বলেন, “গর্ভস্থ শিশু হঠাৎ করে মারা গেলে, এই মৃত্য়ুর কারণ সাধারণত জানা যায় না। যে কোনও মায়ের ক্ষেত্রেই যে সন্তানকে এতদিন ধরে গর্ভে ধারণ করেছেন, সে হঠাৎ করে মারা গেলে, তা মায়ের কাছে অত্যন্ত মানসিক যন্ত্রণার একটি বিষয়। কিন্তু চিকিৎসকদের কাছে সমস্যা হল, গর্ভস্থ অবস্থায় সন্তান মারা গেলে, তার কারণগুলি পরিষ্কারভাবে জানা যায় না।”
তিনি আরও জানান, কী কারণে সন্তানের গর্ভস্থ অবস্থায় মৃত্যু হল তা জানা খুব দরকার। পরবর্তীকালে ওই মহিলা যদি আবার গর্ভবতী হন, তাহলে পরের সন্তানের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেই কারণে এটি দরকার। উন্নত দেশগুলিতে এই প্রক্রিয়া করা হয়। ফরেন্সিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন, আর জি কর হাসপাতালে এই প্রক্রিয়া আগে কখনও হয়নি।