Recruitment Scam: ‘তিনি একবার বলে ফেলেছিলেন…’, নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর বলে ফেলা কোন ‘শব্দবন্ধে’ বাইরে বেরিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন চাকরিহারারা?
Recruitment Scam: বৈঠক শেষে এক চাকরিহারা বললেন, "ভলেন্টিয়ার হিসাবে কেন স্কুলে যেতে যাব? কোনও আশার আলোই দেখাতে পারলেন না। আইনি ভাষায়, মিরর ইমেজ দিতে হবে। সেই প্রসঙ্গটা তো একবারও তুললেনই না। যোগ্য অযোগ্য বিচার হবে কীভাবে?"

কলকাতা: চাকরিহারাদের আপাতত স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা পরামর্শ দিয়েছেন, যত দিন না সরকারের কাছ থেকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নোটিস পাচ্ছেন, তত দিন স্কুলে গিয়ে চাকরিহারাদের স্বেচ্ছা পরিষেবা (ভলান্টারি সার্ভিস) দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। তার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বিবেচনার জন্য আরজি জানাচ্ছে রাজ্য। কিন্তু মমতার সঙ্গে বৈঠকে কতটা সন্তুষ্ট চাকরিহারারা?
বৈঠক শেষে এক চাকরিহারা বললেন, “ভলেন্টিয়ার হিসাবে কেন স্কুলে যেতে যাব? কোনও আশার আলোই দেখাতে পারলেন না। আইনি ভাষায়, মিরর ইমেজ দিতে হবে। সেই প্রসঙ্গটা তো একবারও তুললেনই না। যোগ্য অযোগ্য বিচার হবে কীভাবে?”
চাকরিহারাদের প্রশ্ন, “পরীক্ষা নিয়েছে তো এসএসসি, যোগ্য অযোগ্যের লিস্ট তো দেবে এসএসসি, আমরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কী করব?”
আরেক চাকরিহারা বলেন, “ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী হয়তো এই অযোগ্যদের আলাদা করার ব্যাপারেই কিছু বলবেন। কিন্তু এখানে তো সেই একই প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী তো আলাদা করে কিছুই আশার আলো দেখাতে পারলেন না। আমরা আশাবাদী ছিলাম। কোনও আশাই পেলাম না। সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে যোগ্য অযোগ্য আলাদা করবে?”
চাকরিহারাদের বক্তব্য, এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সারবত্তা, স্বেচ্ছাশ্রম দিতে হবে। কিন্তু তা ক’দিনের? কীসের জন্য? তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। তাহলে ব্যাপারটা কি শিক্ষাতেও এবার ভলান্টিয়ার সার্ভিস? প্রশ্নটা তুলছেন চাকরিহারারাই।
এক চাকরিহারা বলেন, “তিনি একবার বলে ফেলেছিলেন, যদি মাইনাস কিছু রেজাল্ট আসে, তাহলে সিভিক আমার হাতে আছে, আমি পুষিয়ে দেব। কিন্তু আমাদের বক্তব্য, আমাদের কিছু পুষিয়ে দিতে হবে না। আমরা আমাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে পাওয়া চাকরি ফেরত পেতে চাই।”





