MLAs Salary: বেতন আইনে সংশোধনী, দেবীপক্ষের দ্বিতীয়ায় বিশেষ অধিবেশন, অনুমতি কী দেবেন রাজ্যপাল?
MLAs Salary: গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভার অধিবেশনে মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বাড়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৃদ্ধি ছাড়পত্রের জন্য দুটি বিলে সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে। গত বৃস্পতিবার ক্যাবিনেট বৈঠকের সময় বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি নিজে থেকেই উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: দেবীপক্ষের দ্বিতীয়ায়, সোমবার বিধানসভায় একদিনের বিশেষ অধিবেশন। মন্ত্রী বিধায়কের বেতন সংক্রান্ত দুটি আইনে সংশোধনী আনা হবে, তেমনই চর্চা রয়েছে রাজ্যের পরিষদীয় দফতরে। তালিকায় রয়েছে The bengal legislative assembly (members emoluments) Act 1937, এটি বিধায়কদের বেতন সংক্রান্ত। দ্বিতীয়টি, West bengal salaries and allowances act 1952, এটি মূলত মন্ত্রীদের বেতন সংক্রান্ত। এই দুটি আইনের সংশোধনী আনা হবে বলে খবর। অর্থাৎ দুটি বিল আসবে। সোমবার দুপুর ১২ টায় অধিবেশন বসার কথা বলে জানা যাচ্ছে। কতক্ষণ আলোচনা হবে, কোন কোন বিষয়ে হবে, তা নিয়ে সকাল ১১ টায় স্পিকারের চেম্বারে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে।
একদিনের অধিবেশনের জন্য রাজ্যপালের অনুমতি চেয়ে পরিষদীয় দফতর থেকে ইতিমধ্যেই ফাইল গিয়েছে রাজভবনে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত অবশ্য সেই ফাইলে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যদিও বিশেষ অধিবেশনে নিয়ে আগ্রহী নয় বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আমরা ওই সবে নেই। পুজোর উদ্বোধনে ব্যস্ত থাকবেন আমাদের বিধায়করা। মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে এত তাড়াহুড়োর কী আছে? বিলের আলোচনায় অংশ না নিয়ে প্রতিবাদ, না কি আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে নিজেদের অবস্থান রেকর্ড করাবেন বিজেপি বিধায়করা, তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ পরিষদীয় দলের নেতৃত্ব।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই সোমবার সকাল ১১ টায় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তবে দুটি বিলের সংশোধনী সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে শাসক দল পাশ করাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হতে স্বাক্ষর লাগবে রাজ্যপালের। সেই স্বাক্ষর করবেন তো তিনি? না কী মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল ঘিরেও নতুন করে টানাপড়েন শুরু হবে নবান্ন ও রাজভবনের?
গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভার অধিবেশনে মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বাড়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৃদ্ধি ছাড়পত্রের জন্য দুটি বিলে সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে। গত বৃস্পতিবার ক্যাবিনেট বৈঠকের সময় বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি নিজে থেকেই উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই তড়িঘড়ি একদিনের অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তবে দেবীপক্ষের পরে এমন অধিবেশনের নজির রাজ্যে আর রয়েছে কিনা তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই।