Terrorist Link in Bengal: ‘নরেন্দ্র মোদীকে খুনের ছক কষা জঙ্গিরা বারাসত, শিয়ালদহ হয়ে…’, বাংলার জঙ্গি-যোগের অভিযোগে বিস্ফোরক শমীক
Bengal BJP: ২৬/১১ হামলার ঘটনায় বাংলার যোগ রয়েছে বলে দাবি করেন শমীক ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, আরও একধাপ এগিয়ে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) খুনের ছক কষার অভিযোগে গ্রেফতার জঙ্গিদের সঙ্গে বাংলার যোগের কথা তুলে ধরলেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র।
কলকাতা: আইসিস জঙ্গি যোগ সন্দেহে (ISIS Terrorist Link) হাওড়া থেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Kolkata Police STF) দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। আর এই নিয়েই তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও। এরই মধ্যে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। ২৬/১১ হামলার ঘটনায় বাংলার যোগ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, আরও একধাপ এগিয়ে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) খুনের ছক কষার অভিযোগে গ্রেফতার জঙ্গিদের সঙ্গে বাংলার যোগের কথা তুলে ধরলেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র।
শমীক ভট্টাচার্য এদিন দাবি করেন, “বাংলার সঙ্গে জঙ্গি যোগ আছেই। আমরা একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা দীর্ঘদিন ধরে এই কথা বলে আসছি। ২৬/১১-র বিস্ফোরণের সঙ্গে কলকাতার নাম জড়িয়ে গিয়েছে। আজ যিনি প্রধানমন্ত্রী, অতীতের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে খুন করার ছক নিয়ে তিন জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিউদিল্লি স্টেশনে। তাদের দুইজন জেরায় স্বীকার করেছে, তারা উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত পেরিয়ে বারাসত, শিয়ালদহ হয়ে সেখান থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে চেপে দিল্লিতে গিয়ে পৌঁছেছিল। খাগড়াগড় কাণ্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের এসটিএফ যাদের গ্রেফতার করেছে, তাদের সঙ্গে জঙ্গিযোগ উঠে আসছে। বহু স্লিপার সেল এখানে সক্রিয়।”
যদিও শমীকবাবুর এই বিস্ফোরক দাবির পর টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের সঙ্গে। তিনি কড়া ভাষায় এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করে জানান, “যারা ভারতের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। যারা অরুণাচল প্রদেশে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে ব্যর্থ, যারা কাশ্মীরের প্রান্তে পাকিস্তানের আগ্রাসন ঠেকাতে ব্যর্থ, শুধুমাত্র নির্বাচনের সময়ে সস্তার রাজনীতি করার জন্য সেনার কনভয়ে আরডিএক্সের গাড়ি ঢুকিয়ে সেনাবাহিনীকে মৃত্যুর কোলে ফেলে দেয়, তাদের মুখে এই ধরনের কথা মানায় না। ভারতের সার্বিক যে সীমান্ত, তার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। আমরা আজকাল দেখছি, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এক্তিয়ার নিজেদের মতো করে বাড়িয়ে নিচ্ছে।”