SFI : শেষ পর্যন্ত বিধানসভায় ঢুকবে এসএফআই, ‘গ্রিন সিগন্যাল’ স্পিকারের
SFI : সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এসএফআই নেতাদের সঙ্গে দেখার করার জন্য গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন স্পিকার।
কলকাতা : শেষ পর্যন্ত বিধানসভায় (West Bengal Legislative Assembly) প্রবেশ করবে এসএফআই (SFI)। আগামী পরশু সোমবার, স্পিকারের সঙ্গে দেখা করার কথা সিপিআইএমের (CPIM) ছাত্র সংগঠনের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এসএফআই নেতাদের সঙ্গে দেখার করার জন্য গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন স্পিকার। এসএফআইকে দেখা করার সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সাক্ষাৎ হবে স্পিকারের চেম্বারেই। এদিকে এসএফআইয়ের বিধানসভা অভিযান ঘিরে দুদিন আগে উত্তাল হয়েছিল তিলোত্তমা। যদিও মিছিল অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে সৃজন ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, “আমাদের বিধানসভা অভিযানে যদি পুলিশ গুড় বাতাসা নিয়ে হাজির হয়, আমরা তাদের মুখে ল্যাংচা রসগোল্লা গুঁজে দেব। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দুটো মিছিল হবে। এই সময় এই মিছিল না করতে পারলেই খুশি হতাম। কিন্তু রাজ্য সরকার বিধানসভা অধিবেশনের সময় সীমিত করে দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বিধানসভা চলাকালীন এই অভিযানের ডাক দিয়েছি।”
শেষ পর্যন্ত ১০মার্চ বেলা বাড়তেই পুলিশি অনুমতির তোয়াক্কা না করে শহরের নানা প্রান্ত থেকে মিছিল এগোতে থাকে বিধানসভার দিকে। কিন্তু, সব জায়াগাতেই আগে থেকে ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। আটকে দেওয়া হয় পথ। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বিধানসভার কাছে কিছু কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পৌঁছে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। বিধানসভার গেটে উঠে গেলেন সৃজনকে বলতে শোনা যায় ‘চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্টেড, এসে গিয়েছি’। ততক্ষণে তাঁদের ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। বিধানসভার গেট চত্বরেই পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় এসএফআই কর্মী-সমর্থকদের।
হাওড়াতেও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় এসএফআই-এর মিছিল ঘিরে। মিছিল শুরুর আগেই প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় এসএফআই নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের। একটি মিছিল হাওড়া স্টেশন চত্বর অতিক্রম করে বেরিয়ে যেতেই, পরের মিছিলগুলিকে আটকে দেয় পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় দীপ্সিতা ধরের মতো একাধিক প্রথমসারির নেতৃত্বকে। পুলিশের গাড়িতে ওঠার মুখে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল দিপ্সীতাকে। বলেন, ‘সরকার ও সরকারের পোষা পুলিশ ভয় পাচ্ছে। তারা ভাবছে, সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করলেই তৃণমূল সরকারের মুখোশ খুলে পড়ে যাবে। আমরা কোনও সংঘাতে যেতে চাই না। আমরা আমাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা বলার অধিকার রয়েছে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে লড়াই হবে।’ এই প্রেক্ষাপটে এসএফআই নেতাদের সঙ্গে স্পিকারের সাক্ষাৎ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।