Group C : মন্ত্রীর ভাই থেকে তৃণমূল নেতার স্ত্রী, বিধায়কের মেয়ে; Group-C বাতিল তালিকায় এখনও পর্যন্ত নাম জড়ালো কাদের
Group C : বাতিলের তালিকায় উঠে এসেছে মন্ত্রী যোগও। চাকরি গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই খোকন মাহাতোর।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের (Trinamool Congress)। কখনও তৃণমূল নেতার ছেলে, কখনও স্ত্রী, আবার কখনও মন্ত্রীর ভাই, হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে একাধিক হেভিওয়েটদের পরিজনদের গ্রুপ-সির (Group-C) চাকরি। বাতিল হয়েছে একেবারে ৮৪২ জনের চাকরি। বাতিলের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় থেকে ডায়মন্ড-হারবারের নেতা, হুগলির (Hooghly) জেলা পরিষদের সদস্য থেকে বারাসতের (Barasat) প্রাক্তন কাউন্সিলর বাতিল হয়েছে বহু নিয়ম বর্হিভূত চাকরি। বাতিল তালিকায় ৬০৮ নম্বরে নাম রয়েছে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের। বোলপুর হাইস্কুলেই নিয়োগ হয়েছিল বৃষ্টির। তথ্য বলছে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়। বাড়ি বীরভূমের কুসুম্বা গ্রামে। এখানেই থাকেন মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাই নিহার মুখোপাধ্যায়। তাঁরই মেয়ে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়। যদিও তাঁর বাড়িতে গেলে দেখা মেলেনি বৃষ্টির। যদিও বাবা বলেন, “ও একটা মানসিক রোগী। ওর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। হয়তো কোনওভাবে চাকরি পেয়েছিল। কিন্তু, সঙ্গে সঙ্গেই পদত্যাগ করে দেন। একদিন মাত্র স্কুলে গিয়েছিল। তবে ও পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছিল। পড়াশোনায় ছোট থেকেই ভাল।”
বাতিলের তালিকায় উঠে এসেছে মন্ত্রী যোগও। চাকরি গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই খোকন মাহাতোর। বাতিলের তালিকায় ২৮৪ নম্বরে নাম রয়েছে তাঁর। বাড়ি শালবনির কয়মার গ্রামে। এখানেই মাকে নিয়ে থাকেন খোকন। চাকরি বাতিল নিয়ে খোকন বলেন, “আমার তো বলার কিছু নেই। চাকরিটা তো আমাকে এসএসসি দিয়েছিল। বলা হচ্ছে নম্বর বিকৃতি করা হয়েছে। কিন্তু, আমার ওএমআর শিট তো সকলেই দেখেছে। তাতে স্পষ্ট আমি কেমন উত্তর দিয়েছি। আমি গোটা ওএমআর শিটই ফিলাপ করেছিলাম। সেখানে পাশ করার পর যে কোনও বাকি সমস্ত ধাপ সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমি চাকরি পেয়েছিলাম।”
চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম রয়েছে ডায়মন্ড-হারবারের তৃণমূলের টাউন সভাপতি অমিত সাহার। শুধু টাউন সভাপতি নয়। তিনি আবার ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৩ নম্বর কাউন্সিলরও। অভিযোগ, মাত্র ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এতদিন চাকরি করছিলেন উস্তির হটুগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলে। অন্যদিকে ২০১৮ সালে শ্রীরামপুর নেতাজি বয়েজ স্কুলে চাকরি পান হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য টুম্পা মেটে। চাকরি গিয়েছে তাঁর। টুম্পার স্বামীও পঞ্চায়েত সদস্য। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন টুম্পা। তিনি বলেন, “আমি আইনের দ্বারস্থ। আমি কোনওরকম টাকার লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত নই।”
তালিকায় রয়েছেন বারাসতের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দোলন বিশ্বাস। অভিযোগ, ওএমআর শিট বিবৃত করে গ্রুপ-সির চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। যখন তিনি চাকরি পান তখন তিনি কাউন্সিলর পদেও ছিলেন। তালিকায় এখানেই শেষ নয়। বাতিলের খাতায় রয়েছে মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়কের মেয়ের নাম। বাতিল খাতায় ৮৪২ জনের তালিকায় ১৪১ নম্বরে নাম রয়েছে বিধায় ঊষারানি মণ্ডলের মেয়ে বিনতা মণ্ডলের। বেলঘরিয়া নন্দননগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে গ্রুপ-সি পদে কাজ করছিলেন তিনি।